কমবেশি সব বাড়িতেই কিছু না কিছু বাস্তুদোষ থাকে। সেই বাস্তুদোষ কাটিয়ে উঠতে পারলেই পরিবারে শান্তি বজায় থাকে। জ্যোতিষীদের মতে, বাস্তুর ত্রুটি থাকলে গৃহের নানাভাবে ক্ষতি হয়। রোজকার চলার পথে নানাবিধ ত্রুটিপূর্ণ কাজকর্মও নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে। তাঁরা আরও বলছেন, উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকগুলি নানা নির্দিষ্ট কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে কোনও শুভ কাজ করতে হয় উত্তর-পূর্ব কোণে মুখ করে। আবার আগুনের নানা কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে পূর্ব দিক। দিকগুলির নানা প্রভাব রয়েছে স্বাস্থ্যেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু বাড়িতে ভুল দিকে মুখ করে খেতে বসার কারণে নানাবিধ স্বাস্থ্যসমস্যায় পড়েন ওই পরিবারের সদস্যরা। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট দিকে খাবার খাওয়া উচিত। বাস্তু বলে যে প্রতিটি দিকই নানা শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।
পূর্ব – : আপনি যদি পূর্ব দিকে মুখ করে বসে খাবার খান, তবে এই কাজ মানসিক চাপ কমাতে পারে। পূর্ব দিকে মুখ করে খেতে বসলে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। খাবার ভালভাবে হজম হয়। ফলে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। বয়স্ক এবং অসুস্থদের জন্য এই দিকে মুখ করে বসে খাবার খাওয়া খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
উত্তর- জীবনে অর্থ, জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক শক্তি চাইলে, তাহলে উত্তর দিকে মুখ করে খেতে বসতে হবে। আপনি যদি কেরিয়ারে উন্নতি করতে চান তবে উত্তর দিকে বসা উপকারী, বিশেষত কম বয়সি এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য।
পশ্চিম – পশ্চিম দিকে বসে খাওয়া হলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। আপনি যদি ব্যবসা করেন তবে এই দিকে খাওয়ার ফলে লাভ হতে পারে।
দক্ষিণ – দক্ষিণ দিকে মুখ করে খেতে বসা এড়িয়ে চলুন কারণ এটি যমের দিক হিসাবে বিবেচিত হয়, বিশেষত যদি আপনার পিতা-মাতা বেঁচে থাকেন তবে আপনার এই দিকে বসে খাওয়া এড়ানো উচিত।