নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ দ্বিতীয়াতে এই রূপেই পূজিত হন আদ্যাশক্তি মহামায়া। পরনে সাদা শাড়ি, ডান হাতে জপমালা, বাঁ হাতে কমণ্ডলু, দেবী ব্রহ্মচারিণী। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ দ্বিতীয়াতে এই রূপেই পূজিত হন আদ্যাশক্তি মহামায়া। তাঁর ৯ রূপের মধ্যে একটি এই ব্রহ্মচারিণী রূপ। কী সেই রূপের মাহাত্ম্য? দেবী ব্রহ্মচারিণীর নানা অবতারের হদিশ পাওয়া যায়। অনান্য অবতারে দেবী দুর্গার চুল সাধারণত খোলা থাকে, তিনি মুক্তকেশী। অথচ দেবী ব্রহ্মচারিণীর বিগ্রহের আলুলায়িত চুল থাকে চূড়াবদ্ধ করে বাঁধা।
বিশ্বাস, দেবী ব্রহ্মচারিণীর উপাসনা করলে আত্মসংযম বাড়ে। অধ্যবসায় এবং সাধনা পারে মানুষকে সাফল্য এনে দিতে। ব্রহ্মচারিণী ভক্তদের জ্ঞান, বৈরাগ্য এবং সাহস প্রদান করে। ভগবান গণেশের পুজো দিয়ে শুরু হয় দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো। পুজোর সামগ্রীতে থাকে ফুল, চন্দন এবং হলুদ সুতো। দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজোতে সাদা কিংবা হলুদ বস্ত্র পরা শুভ বলে মনে করা হয়। দেবী ব্রহ্মচারিণীকেও সাদা কিংবা হলুদ বস্ত্র অর্পণ করা ভাল। দেবীকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করিয়ে পুজো শুরু করুন। দেবীকে দুধের তৈরি কোনও মিষ্টি ভোগ দিন। দূর্গা সপ্তশতীর পাঠ করুন। শেষে দেবীর আরতি করুন।