হিন্দুপরিবারে ঠাকুরঘরের বিশেষ মূল্য আছে। কিন্তু তা বস্তুর নিয়ম মেনে করতে হবে।
শুধু তাই নয়, ঘর সাজানোর সময়ও বাস্তুর দিকে রাখতে হবে খেয়াল। তাতেই সংসারে বিরাজ করবে শান্তি। সকলের মনে দোলা দেবে খুশি। পাশাপাশি সমৃদ্ধি ধরা দেবে। আর এই কারণে বাস্তুকে শুধু ঘর সাজানোর কৌশল হিসাবে দেখা উচিত নয়। বরং এটাকে পজিটিভ এনার্জি ঘরে টেনে আনার বিজ্ঞান হিসাবে দেখা উচিত বলেই মত শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের। আর এই বাস্তুই বলছে, ঘরের ভিতরের মন্দির বা ঠাকুরঘরের আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। এখানেই পজিটিভ এনার্জি ঘুরে বেড়ায়। তাই ঠাকুরঘর সবসময় ঘরের ঠিক দিকে তৈরি করা উচিত। এমনকী ঠাকুরের মূর্তি এবং ছবিও নির্দিষ্ট দিকেই রাখা উচিত। আর এখানেই ভুল করেন কিছু মানুষ। যার ফল ভুগতে হয়।
বাস্তুশাস্ত্রে ঠাকুরঘরটি ঘরের ঠিক কোণে তৈরি করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঠাকুরঘর ভুল দিকে থাকলে পুজো করার কোনও লাব মিলবে না। এখন প্রশ্ন হল,ঠিক কোন দিকে ঠাকুরঘর তৈরি করা উচিত? তাহলে শুনুন, ঠাকুরঘর সবসময় রাখা উচিত ঘরের উত্তর পূর্ব দিকে। এই দিকেই ভগবানরা বাস করেন বলে মনে করা হয়। অপরদিকে দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে ঠাকুরঘর তৈরি করা অশুভ হতে পারে বলে মনে করছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
- অনেকেই ঘরের অন্দরে ভেঙে যাওয়া মূর্তি রেখে দেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিরাট বিপদ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। পজিটিভ এনার্জির বদলে নেগেটিভ এনার্জি ঘুরে বেড়ায়।
- অনেকেই ঘরের ভিতরেই মন্দির তৈরি করেন। এমনকী কেউ কেউ সিঁড়ির তলায় তৈরি করেন ঠাকুরঘর। আর এটাই ভুল।
- কোনওভাবেই ঠাকুরঘরে ভগবান হনুমানের বড় মূর্তি রাখা যাবে না। তার বদলে একটা ছোট মূর্তি রাখুন।
- অনেকেই জায়গার অভাবে রান্নাঘর এবং টয়লেটের আশপাশে মন্দির তৈরি করেন।
- চেষ্টা করুন ভগবানের রাগি মূর্তি ঘরে না রাখার। তাতে অস্থিরতা বাড়তে পারে। তার বদলে হাসিমুখের ছবি বা মূর্তি রাখুন।
