গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে পাশাপাশি দুটি মন্দির। তার মধ্যে একটি মা কালীর মন্দির। মন্দিরের পাশে যে মন্দিরটি রয়েছে, তাতে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ আছে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মন্দির। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, বিগ্রহটি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মূলত দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই দেশ বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। জলপাইগুড়ি জেলার চা-বাগান ও জঙ্গলঘেরা ছোট্ট গ্রাম শিকারপুর। সেখানে ইতিহাস আর মিথে ঘেরা দেবী চৌধুরানী মন্দির।
ইতিহাস এবং কিংবদন্তি মিলেমিশে একাকার এই মন্দিরে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয়দের মতে এ দেবী চৌধুরানী, সেই দেবী চৌধুরানীই। এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে একটি বজরা সংরক্ষণ করা রয়েছে। এটি দেবী চৌধুরানীর বজরা বলেই প্রচারিত। যদিও সেটা নিশ্চিত করেননি গবেষকরা, তাতে ভক্তদের কিছু যায় আসে না। ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী, নাম দুটো বাঙালির কাছে ইতিহাসের চেয়েও বেশি। কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা জনশ্রুতি। কিছুটা লেখনীর গুনে জীবন্ত হয়ে ওঠা দুটি চরিত্র।