সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং। ক্যানিংয়ের হাইস্কুল পাড়া সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এবারের ভাবনা ‘উড়তে যাদের মানা। ইচ্ছে ডানা।’ ৭৭ বছর বয়সে পা রাখল চলতি বছরের পুজো। স্বাধীনতার পর ক্যানিংয়ের এই পুজোর শুরু। ক্যানিংয়ের প্রাচীনতম পুজো কমিটির মধ্যে অন্যতম এটি। প্লাইউড এবং মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারের পুজো মণ্ডপ। মাটি ও পরিবেশকে বাঁচাতে পুরোপুরি প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
চারদিকে বড় বড় অট্টালিকা। ইট, কাঠ, পাথরের ভিড়ে হারাচ্ছে সবুজ। আর তার ফলে অস্তিত্ব সংকটে চড়ুই থেকে চিল। শকুন থেকে শালিক। বিলুপ্তপ্রায় পাখি বাঁচানোর ডাক দিতে উদ্যোগী ক্যানিংয়ের হাইস্কুল পাড়া সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। এবার তাদের থিমভাবনা – ‘উড়তে যাদের মানা। ইচ্ছে ডানা।’ কাঠের বিভিন্ন পাখি তৈরি করে রাখা হয়েছে মণ্ডপে। খাঁচাবন্দি ৭৭টি পাখি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হবে। পুজো কমিটির সম্পাদক অরিত্র বোস বলেন, “সমাজ ও মানব সভ্যতা এগিয়ে চলেছে। তৈরি হচ্ছে উঁচু উঁচু বসতবাড়ি। যার ফলে বিপন্ন চড়ুই, শকুন ও চিলের মতো পাখিরা। তাদের বাঁচাতে মানুষকে সচেতন করতে ‘উড়তে যাদের মানা। ইচ্ছে ডানা’ এবারের ভাবনা।”