মাছ মানেই দৃশ্যত গতোশীল প্রাণ। স্বাভাবিক কারণেই বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা অনেকেই পছন্দ করেন। অ্যাকোয়ারিয়াম শুধু ঘরের শোভা বাড়ায় না, বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ ঘটায়। মাছের চলাফেরা, জলের ধারা এবং স্বচ্ছ পরিবেশ একদিকে যেমন মনকে শান্ত করে, অন্যদিকে তেমন ঘরে সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আর্থিক উন্নতি নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস। তবে এর সঠিক দিক ও অবস্থান না মানলে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। তাই বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম বসানোর আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখাটা জরুরি। যেমন –
১) বাস্তু মতে উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিক অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার জন্য সবচেয়ে শুভ। এই দিকগুলোতে জলীয় উপাদান স্থাপন করলে ইতিবাচক শক্তি বাড়ে এবং পরিবারের উন্নতি হয়। উত্তর দিক অর্থভাগ্য এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ঘটায়। পূর্ব দিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করে। উত্তর-পূর্ব দিক জ্ঞান, শান্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
২) অ্যাকোয়ারিয়াম সবসময় লিভিং রুম বা ড্রইং রুমে রাখা সবচেয়ে ভাল। এই জায়গায় পরিবার এবং অতিথিরা বেশি সময় কাটান, ফলে ইতিবাচক শক্তি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শোবার ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে অনেক সময় মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়। রান্নাঘর বা পুজোর ঘরে রাখাও বাস্তুসম্মত নয়।
৩) বাস্তু মতে অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছের সংখ্যা বেজোড় না হয়ে জোড় সংখ্যা হওয়া ভালো। বিশেষ করে ৮টি স্বর্ণালী রঙের মাছ ও ১টি কালো রঙের মাছ রাখা শুভ বলে ধরা হয়। স্বর্ণালী মাছ সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক, আর কালো মাছ নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে নেয়।
৪) অ্যাকোয়ারিয়ামের জল সবসময় পরিষ্কার ও স্বচ্ছ রাখা জরুরি। নোংরা জল ঘরে নেতিবাচক শক্তি ডেকে আনে বলে ধরা হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার জল পরিবর্তন করুন এবং ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন।
৫) মাছকে সময়মতো খাবার দেওয়া, অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার রাখা ও মৃত মাছ দ্রুত সরিয়ে ফেলা খুব জরুরি।