অবাক হলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্য। আহলে আসুন বিস্তারিত জানা যাক। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন সোনিয়া গান্ধী! তাও আবার বিজেপির টিকিটে? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চর্চায় উঠে এল কেরল। এই রাজ্যের ইদুক্কি জেলার মুন্নার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে লড়ছেন সোনিয়া গান্ধী। কাকতালীয়ভাবে নাম এক হলেও প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও এই সোনিয়া গান্ধী কিন্তু এক নন। যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। কেরালার পাহাড়ি শহর মুন্নার। এখানেই স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নাল্লাথান্নি ওয়ার্ডে এবার বিজেপির তরফে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। জানা যাচ্ছে, বিজেপির এই সোনিয়ার জন্ম এক কংগ্রেস পরিবারের ঘরে। তাঁর বাবা ছিলেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা প্রয়াত দুরাই রাজ। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই তিনি নিজের কন্যার নাম রেখেছিলেন সোনিয়া গান্ধী।
কিন্তু জীবন কখন কোন দিকে মোড় নেয় তা কেউ জানে না। সোনিয়ার জীবনের মোড় ঘোরে বিয়ের পর। সোনিয়ার স্বামী সুভাষ একজন বিজেপি নেতা। স্থানীয় নির্বাচনেও একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর বাপের বাড়ির রাজনৈতিক ঘরানা ছেড়ে শ্বশুরবাড়ির রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রহণ করেন সোনিয়া। যোগ দেন বিজেপিতে। সক্রিয় রাজনীতিতে পা রেখে অল্প দিনেই বিজেপি নেতৃত্বের নজরে পড়েন তিনি। এবারের মুন্নার পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয় সোনিয়া গান্ধীকে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নাম বিভ্রাট প্রসঙ্গে সোনিয়া বলেন, এটি একেবারেই কাকতালীয়। এদিকে এবারের নির্বাচনে সোনিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের মঞ্জুলা রমেশ এবং সিপিআই(এম)-এর ভালরমতি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী যেই হোক না কেন, নির্বাচনে নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
