হিন্দুধর্মে কীট পতংগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পশু ও পাখির পুজো প্রচলিত আছে। বিশেষ করে নীলকন্ঠ, ময়ূর, রাজহাঁস তো খুবই সমভ্রান্ত পাখি। “পাখি পূজা” বলতে সাধারণত পাখি বিষয়ক পূজা বা পাখি সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠানকে বোঝায়। এটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রূপে দেখা যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, পাখিদের দেবতা বা দেবীর দূত হিসেবে পূজা করা হয়, আবার কোথাও তাদের প্রকৃতির অংশ হিসেবে সম্মান জানানো হয়।
এখানে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা হলো:
- নীলকন্ঠ পাখি:
দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিনে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর একটি প্রথা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, নীলকন্ঠ পাখি মহাদেবের দূত হিসেবে দুর্গার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার বার্তা পৌঁছে দেয়। - অন্যান্য পাখি:
কিছু সংস্কৃতিতে অন্যান্য পাখি যেমন – চাতক, পাপিয়া ইত্যাদি পাখিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং তাদের পূজা করা হয়। - প্রকৃতি পূজা:
কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে পাখিদের প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পূজা করা হয় এবং তাদের সম্মান জানানো হয়। - বিভিন্ন পূজা:
কিছু কিছু ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট কিছু পাখি নির্দিষ্ট দেবদেবীর সাথে সম্পর্কিত এবং তাদের পূজা করা হয়, যেমন – কার্তিক পূজায় ময়ূরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পাখি পূজা একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্নভাবে পালিত হয়।