www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 1, 2025 9:06 pm

আগামী ৩০ অক্টোবর দুপুর ১. ১৫ মিনিট থেকে ৩১ অক্টোবর দুপুর ৩. ৫২ মিনিট পর্যন্ত 'ভূত চতুর্দশী' তিথি। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন ওঠে কি এই 'ভূত চতুর্দশী'?

আগামী ৩০ অক্টোবর দুপুর ১. ১৫ মিনিট থেকে ৩১ অক্টোবর দুপুর ৩. ৫২ মিনিট পর্যন্ত ‘ভূত চতুর্দশী’ তিথি। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন ওঠে কি এই ‘ভূত চতুর্দশী’? এই নিয়ে পুরানে আছে একাধিক কাহিনি । ভূত চতুর্দশী’র সঙ্গে বলিরাজার একটি কাহিনী যুক্ত। সেই কাহিনিটি খুবই প্রচলিত।

সেখানে বলা হচ্ছে, শ্রীবিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র দৈত্যরাজ বলি, সাধনবলে শক্তি অর্জন করে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল জয় করে ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি দেবতারাও তাঁর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছিলেন না। স্বর্গরাজ্য দখল করে দেবতাদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলি। এমত অবস্থায় শ্রীবিষ্ণুর দ্বারস্থ হলেন দেবতারা। বলির তাণ্ডব থামাতে, বামন রূপ ধারণ করে আবির্ভূত হলেন শ্রীবিষ্ণু। দানব রাজ বলির কাছে তিনটি চরণ রাখার জায়গা ভিক্ষা চাইলেন। ভিক্ষা দিতে রাজি হলেন বলি। দু’পা দিয়ে স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করে নিলেন বামন রূপী শ্রীবিষ্ণু। তৃতীয় পা কোথায় রাখবেন, তা জিজ্ঞাসা করা মাত্র প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলি, নিজের মাথা পেতে দিলেন বামন অবতারের চরণে। ব্যাস, এখানেই অত্যাচারী বলি রাজের হাত থেকে বেঁচে গেলো স্বর্গের দেবতারা।

বলির মাথায় পা রেখে, তাঁকে পাতালে প্রবেশ করান বামন অবতার। সেই থেকে পাতালই হল দৈত্যরাজ বলির আবাস। তবে, তাঁর এই আত্মাহুতি দেখে শ্রীবিষ্ণু বলিকে অমরত্ব প্রদান করেছিলেন। সেই সঙ্গে বছরে একটি দিন তাঁকে ভূত- প্রেতাত্মা- পিশাচ- অশরীরীর সঙ্গে এই পৃথিবীতে আসার অনুমতি দেন। আর সেই দিনটি হলো ভূত চতুর্দশী।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *