www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

September 5, 2025 10:29 pm

বাঙালির পুজোর বাজনা বেজে উঠেছে দুই বাংলা জুড়েই। প্রবাসেও পুজোর আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।

বাঙালির পুজোর বাজনা বেজে উঠেছে দুই বাংলা জুড়েই। প্রবাসেও পুজোর আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু জার্মানির রাইন নদীর তীরে মোটেই কাশফুল ফোটে না। অথবা কোলন শহরের কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়াও হয় না। তবু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে এই শহরেও শরৎ এসে পৌঁছয় প্রতি বছর নিয়ম করে। তাই প্রবাসী বাঙালিদের আগ্রহে মা দুর্গাও সদলবলে এসে হাজির হন কোলন শহরে। কোলনের ভারত সমিতি-র দুর্গাপুজোর খ্যাতি আজ সারা জার্মানি জুড়েই। সে অনেক বছর আগের কথা। ১৯৯২ সাল। ১২ জন প্রবাসী বাঙালি জার্মানির কোলন শহরে হৈহৈ করে দুর্গাপুজোর আয়োজনের কথা ভাবলেন। এর আগে তাঁরা ফ্রাঙ্কফুর্টের দুর্গাপুজোতে যেতেন। কিন্তু সেবারই প্রথম তাঁদের মনে ভাবনা এলো, নিজেরা একটা পুজো করলে কেমন হবে? সেটা একদমই নিজেদের পুজো হবে। সব প্রবাসীদের মনে তখন দেশের পুজো, মানে স্বদেশের স্মৃতি জড়িয়ে। ঠিক হল, পুজোতে কলকাতার মতোই আয়োজন করা হবে।

এক চিলতে ভাবনা ডানা মেলেছিল কোলনের প্রবাসী বাঙালিদের ইচ্ছের আকাশে। তারই ফলশ্রুতিতে ‘ভারত সমিতি’র উদ্যোগে কোলনে শুরু হল দুর্গাপুজো। আজ সেই পুজো জার্মানির অন্যতম বড় পুজো বলে গণ্য হয়। পুজো কমিটির সদস্য সংখ্যা এখন ৫০-এর ওপরে। আশেপাশের নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ থেকে প্রায় হাজার খানেক মানুষ হাজির হন পুজো উপলক্ষে। এই পুজো এ বছর ৩৪ বছরে পা দিয়েছে। সেই তিন দশক আগের পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম অশীতিপর সুবীর গোস্বামী আজো এই পুজোর পুরোহিত। কোলনের প্রবাসী বাসিন্দা ঐশ্বর্য পাল বাগ বঙ্গদর্শন.কমকে বলেন, “পুজোর কর্মকান্ড শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। এবারে মূলত ভাগ হয়েছে সাত ভাগে- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রান্নাবান্নার আয়োজন ও প্রসাদ বিতরণ, পুজোর প্রস্তুতি, সবশেষে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও পরিচালনা। এসবই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। জুলাই মাস থেকেই মহড়া চালু করে দিয়েছি।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *