www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

September 16, 2025 9:30 pm

মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করে যুগ যুগ ধরে চলেছে 'বারো মাসে তেরো পার্বন'। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হলো - শারদীয়া দুর্গোৎসব। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ বিভিন্ন রীতি ও আচার অনুষ্ঠান পালন করেন।

মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করে যুগ যুগ ধরে চলেছে ‘বারো মাসে তেরো পার্বন’। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হলো – শারদীয়া দুর্গোৎসব। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ বিভিন্ন রীতি ও আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। তেমনই বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর এক অদ্ভুত রীতি হলো দেবী দুর্গার গায়ের রং কালো। কিন্তু কেন? এখানেই প্রচলিত আছে এক কিংবদন্তি। বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুরে নাটোরে রাজত্ব করতেন রানি ভবানি। তাঁর আমলেই শুরু হয় এই বাড়ির পুজো। পুজো শুরু করেন হরিদেব ভট্টাচার্য। দেখতে দেখতে পুজো পেরিয়েছে ২৯০ বছরের গন্ডিও।

কথিত মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই দুর্গা পুজো শুরু করেন ভট্টাচার্য মশাই। মায়ের আদেশেই মূর্তির রং স্থির হয় কালো। হরিদেব ভট্টাচার্য ছিলেন কালী ভক্ত। দুর্গা পুজো শুরুর বহু আগে থেকেই তার বাড়িতে মা কালীর আরাধনার চল ছিল। হরিদেব ভট্টাচার্য কথা বলেন, বহু পণ্ডিতের সঙ্গে কিন্তু কেউ তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শেষে একদিন গঙ্গার ঘাটে খুঁজে পান উত্তর। এক সাধুকে তার মনের সব কথা জানালে, তিনি নাকি বলেন মা পূজিতা হতে চান ভদ্রকালী রূপে। তাই এই কালো বর্ণের আদেশ। তবে মায়ের গায়ের রং কালো হলেও সন্তানদের রং কিন্তু গৌর বর্ণ, আর অসুরের রং হয় সবুজ।

এ বাড়িতে পুজো হয় কালিকা মতে। পুরোহিতের গায়ে থাকে লাল বস্ত্র। তন্ত্র মতে পুজো করেন দেবীর। ভোগে সকালে থাকে নিরামিষ আর সন্ধে বেলা আমিষ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *