বাংলার বাসন্তি পুজোই আসলে আদি দুর্গাপুজো। রূপরীতি ও আঙ্গিক সব সেই একই রকম। বাসন্তী পূজার ইতিহাস অনুসারে, এটিই বাংলার আদি দুর্গাপূজা এবং বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হত। এর সূচনা হয়েছিল ঋষি মেধসের আশ্রমে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য কর্তৃক, যা পরবর্তীতে বাসন্তী পূজা নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে, সময়ের সাথে সাথে এবং রাজা রামের অকালবোধন-এর কাহিনি জনপ্রিয় হওয়ার ফলে শরৎকালের দুর্গাপূজা বেশি প্রচলিত হয়ে যায় এবং বাসন্তী পূজা বর্তমানে মূলত কিছু জমিদার বাড়ি এবং বনেদি বাড়িতে সীমাবদ্ধ।
- বাসন্তী পূজার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
আদি দুর্গাপূজা:
পুরাণের মতে, বাসন্তী পূজাই ছিল বাঙালির আসল দুর্গাপূজা, যা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হত।
সূচনা:
রামায়ণে বর্ণিত দেবীর মর্ত্যে আসার সময়ের আগে, রাজা সুরথ এবং সমাধি বৈশ্য মেধস মুনির আশ্রমে প্রথম মৃন্ময়ী প্রতিমায় এই পূজা শুরু করেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপট:
সময়ের সাথে সাথে, বিশেষ করে আকবরের আমলে কংসনারায়ণের শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রচলন হওয়ার পর থেকে বাসন্তী পূজা ধীরে ধীরে কম জনপ্রিয় হয়।
জনপ্রিয়তার কারণ:
রাজা রামের অকালবোধন-এর কাহিনি জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই শরৎকালে দুর্গাপূজা একটি প্রধান উৎসবে পরিণত হয়, যা বাসন্তী পূজার জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যায়।
বর্তমানে:
বাসন্তী পূজা এখন মূলত বসন্তের নবরাত্রির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং শুধু কিছু বনেদি বা জমিদার বাড়িতেই এই ঐতিহ্য এখনো বিদ্যমান।
