হঠাৎ করেই নৈহাটির বড়মা সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছে। কিন্তু এর ইতিহাস শতাধিক বছরের পুরোনো। স্থানীয়রা বলেন, অলৌকিক শক্তি রয়েছে মায়ের। কথা হচ্ছে নৈহাটির বড়মার। কেন দেবীকে ‘বড়মা’ নামে ডাকা হয়? তাঁর মাহাত্ম্যই বা কী? কে কবে থেকে পুজো শুরু করেন? এই প্রতিবেদনে রইল তার খুঁটিনাটি। সে প্রায় একশো বছর আগের কথা। বন্ধুদের সঙ্গে নবদ্বীপে রাস দেখতে যান নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী। সেখানে রক্ষাকালীর বড় একটি মূর্তি দেখে পুজো করার ইচ্ছা জাগে তাঁর। বাড়ি ফিরে সেই প্রস্তুতি শুরু করে দেন তিনি। পরের বছর থেকে শুরু পুজো। সেই কারণে এই দেবী ‘ভবেশকালী’ নামেও পরিচিত। ভবেশকালী নামের কারণ তো বোঝা গেল। কিন্তু বড়মা কেন?
জানা যায়, এই কালী মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। উচ্চতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দেবী ‘বড়মা’ নামে পরিচিতি পেতে থাকেন। সেই নামই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যবাসীর কাছে। গত বছর পুজোর একশো বছর পূর্ণ হয়েছে। নবরূপে সাজানো হয়েছে মন্দির। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি। এখানে নিত্যদিন পূজিত হন মা। নিয়ম মেনে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন শুরু হয় ২১ ফুটের মাটির প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজোয় কয়েকশো সোনা ও রুপোর গয়নায় সাজানো হয় মূর্তি। বির্সজনের দিন গয়না খুলে ফুলের সাজে সাজানো হয় মাকে।