www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 9, 2025 6:40 pm

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতরম ভারতের জাতীয় স্তোত্র।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতরম ভারতের জাতীয় স্তোত্র। বাঙালি হিসাবে এটা আমাদের গৌরব। সেই গানের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে আলোচনা চলেছে। সোমবার সেই আলোচনার সূত্রপাত করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘বন্দে মাতরম’ভারতের জাতীয় গান, যা বঙ্কিমচন্দ্রর ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে এবং এটি দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার প্রতীক! ১৮৭৫ সালে রচিত এই গানটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ১৯৫০ সালে ভারতের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে গৃহীত হয়, যা জন-গণ-মন-এর পাশাপাশি ভারতের ঐক্য ও চেতনার ধারক।

১৮৭০-এর দশকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই গানটি রচনা করেন, যা প্রথমে একটি কবিতা ছিল। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আনন্দমঠ’-এ এই গানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা এটিকে ব্যাপক পরিচিতি দেয়।

ভাষা ও ভাব: গানটি মূলত সংস্কৃত-বাংলা মিশ্র ভাষায় রচিত, যা মাতৃভূমিকে দেবী রূপে বন্দনা করে এবং বঙ্গদেশের জাতীয় প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।

স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা –

১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের সময় এটি রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে প্রথম ব্যবহৃত হয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে। এই গানটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং বিদ্রোহে সামিল করতে প্রেরণা জুগিয়েছিল।

প্রথম পরিবেশনা: ১৮৯৬ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি প্রথম পরিবেশন করেন। জাতীয় স্তোত্র হিসেবে মর ভারতের সংবিধান সভা ১৯৫০ সালে ‘বন্দে মাতরম’-কে ‘জাতীয় স্তোত্র’ (National Song) হিসেবে গ্রহণ করে, যা ‘জন-গণ-মন’-এর পাশাপাশি ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি করে। এই গান ভারতের জনগণের চেতনা ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং দেশের জাতীয় গর্বের পরিচায়ক।

ঋষি অরবিন্দ ঘোষ এই গানটিকে “বঙ্গদেশের জাতীয় সংগীত” এবং একটি “মন্ত্র” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা দেশের শক্তি ও চেতনার উৎস।

‘বন্দে মাতরম’ শুধুমাত্র একটি গান নয়, এটি ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *