www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

November 15, 2025 1:58 pm

আকবরের ধর্ম বাণী ছিল 'সুলহ-ই-কুল' বা সর্বজনীন শান্তি এবং সহনশীলতা, যা তিনি তার নতুন ধর্ম 'দ্বীন-ই-ইলাহী'-এর মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন।

আকবরের ধর্ম বাণী ছিল ‘সুলহ-ই-কুল’ বা সর্বজনীন শান্তি এবং সহনশীলতা, যা তিনি তার নতুন ধর্ম ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’-এর মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। এই নতুন ধর্মটি বিভিন্ন ধর্ম যেমন ইসলাম, হিন্দুধর্ম, জরথুষ্ট্রবাদ, এবং খ্রিস্টধর্মের উপাদান থেকে তৈরি হয়েছিল এবং এর মূল লক্ষ্য ছিল সকল ধর্মের মধ্যে একতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ স্থাপন করা। 

  • আকবরের ধর্মীয় বাণীর মূল দিকগুলো:
  • সর্বজনীন শান্তি (‘সুলহ-ই-কুল’): আকবরের ধর্মীয় নীতির প্রধান ভিত্তি ছিল সকল ধর্মের প্রতি সম্মান ও সহনশীলতা। এর লক্ষ্য ছিল রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা।
  • ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’: এটি একটি সমন্বিত ধর্ম যা ১৫৮২ সালে আকবর চালু করেন। এটি মূলত ইসলাম, হিন্দুধর্ম, জরথুষ্ট্রবাদ, এবং খ্রিস্টধর্মের সমন্বয়ে গঠিত ছিল।
  • ধর্মীয় ঐক্য: তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকল ধর্মই মূলত একই সত্যের পথে পরিচালিত হয়। ইবাদতখানায় বিভিন্ন ধর্মীয় পণ্ডিতদের সাথে আলোচনার পর তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
    • দ্বীন-ই-ইলাহী’-এর বৈশিষ্ট্য:

কোন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বা পুরোহিত শ্রেণী ছিল না।

সুফিবাদের প্রভাব ছিল, যেমন ঈশ্বরের জন্য আত্মাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করা।

কিছু ক্ষেত্রে জৈন ধর্মের মতো পশু হত্যা নিষিদ্ধ ছিল।

সংক্ষেপে, আকবরের ধর্মীয় বাণী ছিল ‘সুলহ-ই-কুল’-এর উপর ভিত্তি করে ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’ নামক একটি নতুন ধর্ম, যা বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে একতা ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। 

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *