এমন ঘটনা শুধু ব্যতিক্রম নয়, প্রায় অসম্ভব বলা যায়। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে কালনার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা এলাকায় এক নাবালক। পিৎজা প্রেমে দিনের পর দিন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে এমন কাণ্ডই ঘটিয়ে ফেলেছেন কালনার এক নাবালক। এই পাহাড়প্রমাণ টাকা মেটাতে আবার বাড়ির আলমারি থেকে অর্থও হাতিয়েছে সে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল ছড়িয়েছে এলাকায়। কিন্তু এক নাবালককে কোনও প্রশ্ন না করে দিনের পর দিন এত টাকার পিৎজা বিক্রি করেছে কেন ওই পিৎজা শপ? এলাকাবাসীর এহেন প্রশ্নের পর দোকানের ম্যানেজারকে আটক করেছে কালনা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কালনার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা এলাকায় ওই নাবালকের পরিবার একটি বাড়ি বিক্রি করেছিল। সেই বাড়ি বিক্রির অর্থ-সহ বেশ কিছু টাকা মিলিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি তাঁরা আলমারির লকারে রেখেছিলেন। তাঁদের বাড়িরই ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, কালনা শহরের এক নামী পিৎজার দোকানে গিয়ে প্রতিদিনই দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে খরচ করতেন। এমনকি পিৎজা শপের উপরের পুরো অংশটি বুক করে নিত ওই নাবালক। তারপর বন্ধুদের নিয়ে চলত দেদার পার্টি। পরিবারের অভিযোগ, পিৎজা খেয়ে খুব বেশি হলে ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে কিন্তু তাই বলে ২১ লক্ষ টাকা খরচ হওয়া অসম্ভব! বিষয়টি ধরা পড়ে গত মঙ্গলবার। বাড়ির আলমারির লকার খুলে গৃহকর্তা দেখেন, সেখান থেকে ২১ লক্ষ টাকা উধাও। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পিৎজা দোকানের ম্যানেজারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কালনা থানার পুলিশ।