www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 2, 2024 6:21 am
laxmi puja

পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো করা হয়। ৮ অক্টোবর রাত ৩টে ২৯ মিনিট ৪২ সেকন্ড থেকে শুরু করে ৯ অক্টোবর রাত ২টো ২৫ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকবে। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো সন্ধ্যা নাগাদ করাই শুভ।

শারদীয়া দুর্গা পুজোর শেষে এবার লক্ষ্মীর আরাধনা। লক্ষ্মী ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সুখ, সৌভাগ্য, সৌন্দর্য প্রদান করে থাকেন। প্যাঁচা লক্ষ্মীর বাহন এবং তিনি ছয় বিশেষ গুণের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। আবার শাস্ত্র মতে বিষ্ণুর শক্তির উৎসও লক্ষ্মী। বিষ্ণুর অবতারের সময় তিনিও কখনও সীতা, কখনও রাধা আবার কখনও রুক্মিণী রূপে জন্মগ্রহণ করেন। শরৎ পূর্ণিমায় তাঁর বিশেষ পূজার্চনা করা হয়। একে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বলা হয়ে থাকে। অন্য দিকে শরৎ পূর্ণিমা আবার কোজাগরী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।

গৃহস্থরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো (Laxmi Puja) করেন। কিন্তু শরৎ পূর্ণিমার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Kojagori Laxmi Puja) ও দীপাবলীর দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোর (Diwali) বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শারদীয়া দুর্গোৎসবের (Durga Puja) পর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়। চলতি বছর ৯ অক্টোবর, রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো করা হবে। এদিন ব্রতপালন, উপবাস ও নিশিযাপন করা হয়। এই রাতে জেগে থাকার বিধান রয়েছে।

কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো

পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো করা হয়। ৮ অক্টোবর রাত ৩টে ২৯ মিনিট ৪২ সেকন্ড থেকে শুরু করে ৯ অক্টোবর রাত ২টো ২৫ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকবে। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো সন্ধ্যা নাগাদ করাই শুভ।

এই লক্ষ্মী পুজোকে কোজাগরী কেন বলা হয়?

শরৎ পূর্ণিমার এই লক্ষ্মী পুজো কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো নামে পরিচিত। এই লক্ষ্মী পুজোয় রাত্রি জাগরণ করা হয়। কোজাগরী অর্থাৎ কে জাগরী বা কে জেগে আছো। শাস্ত্র মতে এই রাতে লক্ষ্মী সকলের বাড়ি যান। যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে ও গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে লক্ষ্মী ফিরে আসেন। এ কারণে এই লক্ষ্মী পুজোকে কোজাগরী বলা হয় এবং রাত্রি জাগরণের নিয়ম রয়েছে।

ধান, চাল, অন্ন, খাদ্যশস্য লক্ষ্মীর প্রতীক। যে ব্যক্তি খাদ্য অপচয় করেন, তাঁদের ওপর লক্ষ্মী ক্ষুব্ধ থাকেন। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী গোলাঘর লক্ষ্মীর প্রতীক। আবার ধানক্ষেতের আশপাশে ইঁদুরের বাস। এরা ফসলের ক্ষতি করে। আবার লক্ষ্মীর বাহন প্যাঁচার আহার হল ইঁদুর। এ কারণেই প্যাঁচা লক্ষ্মীর বাহন। উল্লেখ্য, লক্ষ্মী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। তাই প্রাচীন কাল থেকে গ্রাম বাংলায় লক্ষ্মী পুজোর সময় ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আলপনা দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এই পুজো লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ বাইরে থেকে বাড়ির ভিতরের অভিমুখে আঁকা হয়। মনে করা হয় লক্ষ্মী সেই পথ অনুসরণ করে গৃহে প্রবেশ করবেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *