আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের নাগরিক। এমন বহু শিশু ভারতে আছে যাদের হৃদয়ে আছে সম্পূর্ণ দেশপ্রেম। তেমনই এক ১০ বছরের বালক শ্রমন। বয়স মাত্র ১০ বছর। সেই বয়সেই দেশপ্রেমের অসাধারণ নজির গড়ে এখন দেশের সকলের নয়নের মনি ১০ বছরের শ্রবন। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন সীমান্তে ভারতীয় সেনার সহায় হয়ে উঠেছিল ১০ বছরের এক বালক। ভয়ংকর যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও নিয়মিত সেনা জওয়ানদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল প্রয়োজনীয় রসদ। দেশপ্রেমের পুরস্কার স্বরূপ শ্রবণ সিং নামে সেই বালকের হাতে উঠল ‘প্রধানমন্ত্রী বাল পুরস্কার ২০২৬’। ভারতীয় সেনার সর্বকনিষ্ঠ সিভিল ওয়ারিয়র হিসেবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এই সম্মান গ্রহণ করল শ্রবণ। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া শ্রবণের দেশপ্রেমের এই অসাধারণ কর্মকাণ্ড নজরে আসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন।
ভয়াবহ সেই যুদ্ধ চলাকালীন পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোতায়েন সেনা জওয়ানদের সাহায্যে এগিয়ে যায় ওই বালক। গুরুতর ওই পরিস্থিতির মাঝেই নিয়মিত সেনার কাছে সে পৌঁছে দিচ্ছিল জল, চা, দুধ, লস্যি আর বরফ। শুধু তাই নয়, বিপজ্জনক ওই পরিস্থিতিতে শ্রবণ সেনা জওয়ানদের কাছে প্রস্তাব দেন প্রয়োজনে নিজের বাড়িতে থাকার। শ্রবণের সেই প্রস্তাব মন কেড়ে নিয়েছিল কর্তব্যে অবিচল সেনা জওয়ানদের। শ্রবণের এই কর্মকাণ্ড নজরে আসার পর ইতিমধ্যেই তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সেনার শীর্ষকর্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, শ্রবণের শিক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব নেবে তাঁরা। যাতে এই নির্ভীক বালক পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারে ও তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে পারে। অবশেষে দেশের সর্বোচ্চ শিশু সম্মান প্রধানমন্ত্রী বাল পুরস্কার পাওয়ার পর যারপরনাই খুশি শ্রবণ। ওই বালকের কথায়, “আমি ভালোবেসেই দেশের সেনাকে সাহায্য করতাম। ওরা আমায় বিশেষ উপহার দিয়েছে একসঙ্গে বসে খাবার খেয়েছি, আইসক্রিম খেয়েছি। আমি নিজেও বড় হয়ে সৈনিক হয়ে দেশের সেবা করতে চাই।”