www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 26, 2025 2:04 pm

হিন্দুধর্ম পরজন্মে বিশ্বাস করে। তাই কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর সন্তানেরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় শ্রদ্ধ করেন।

হিন্দুধর্ম পরজন্মে বিশ্বাস করে। তাই কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর সন্তানেরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় শ্রদ্ধ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো – যে ব্যক্তি অবিবাহিত তাঁর শ্রাদ্ধ কে করবেন। হিন্দু ধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের অন্যতম ‘গরুড় পুরাণ’-এ এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। পিতাই প্রধান কর্তা সাধারণত শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, পুত্র তার পিতার শ্রাদ্ধ করে পিতাকে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু যদি কোনো পুত্র অবিবাহিত থাকা অবস্থায় প্রাণ হারায়, তবে তাঁর স্ত্রী বা সন্তান কেউ থাকে না। এমতাবস্থায় শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী, পুত্রের শ্রাদ্ধ কর্ম করার প্রাথমিক দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে তাঁর পিতার। পুত্রের আত্মার শান্তি ও মোক্ষ লাভের জন্য পিতাই এখানে প্রধান কর্তার ভূমিকা পালন করবেন। পিতার অনুপস্থিতিতে বিকল্প নিয়ম যদি মৃত ব্যক্তির পিতা জীবিত না থাকেন অথবা অসুস্থতার কারণে শ্রাদ্ধ করতে অপরাগ হন, তবে পিতার পর সেই দায়িত্ব এসে পড়ে মৃতের ছোট বা বড় ভাইয়ের ওপর। যদি মৃত ব্যক্তির কোনও ভাই না থাকে, তবে তাঁর পিতৃব্য বা কাকা এই শ্রাদ্ধ কর্ম সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোনও আত্মীয়ের অনুপস্থিতিতে বংশের যেকোনও পুরুষ সদস্য এই পবিত্র কাজ করতে পারেন।

অবিবাহিত আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ বিধান শাস্ত্র মতে, অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুকে একটি ‘অপূর্ণ জীবন’ হিসেবে গণ্য করা হয়। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, এই ধরণের অতৃপ্ত আত্মার শান্তির জন্য সাধারণ শ্রাদ্ধের পাশাপাশি কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। যদি অকাল মৃত্যু ঘটে, তবে ‘নারায়ণ বলি’ পুজো করানোর বিধান রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই পুজোর মাধ্যমে আত্মা প্রেত যোনি থেকে মুক্ত হয়ে পিতৃলোকে স্থান লাভ করে। গয়ায় ও হরিদ্বারে এই পুজো আলাদা করে করানো হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *