মহাভারতের যুদ্ধ শেষে, পঞ্চ পাণ্ডব ও দ্রৌপদী রাজ্যভার ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক মুক্তির উদ্দেশ্যে তীর্থযাত্রার জন্য বেরিয়ে পড়েন। হিমালয়ের দিকে যাত্রা করার সময়, প্রথমে দ্রৌপদী ও পরে একে একে ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব মৃত্যুবরণ করেন। একমাত্র যুধিষ্ঠির একটি কুকুরকে সাথে নিয়ে ঈশ্বরের পথে চলতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত স্বশরীরে স্বর্গে প্রবেশ করেন।
- ধর্মকথা ও পঞ্চ পাণ্ডবদের স্বর্গযাত্রা
- রাজ্য ত্যাগ ও যাত্রা: যখন তারা রাজ্য ছেড়ে ‘মহাপ্রস্থান’ বা স্বর্গ যাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন তারা বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম অনুসরণ করে রাজ্য পরিচালনা করার কারণে তারা স্বশরীরে স্বর্গে যেতে পারবেন।
সঙ্গী: তাঁদের যাত্রাপথে একটি কুকুরও তাঁদের সাথে যোগ দেয়, যা পরে স্বয়ং ধর্মরাজ যমরাজ বলে প্রমাণিত হয়।
প্রথম মৃত্যু: যাত্রাপথে সবার আগে দ্রৌপদীর মৃত্যু হয়।
পাণ্ডবদের মৃত্যু: এরপর একে একে ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেবের মৃত্যু হয়।
যুধিষ্ঠিরের স্বর্গযাত্রা: একমাত্র যুধিষ্ঠির তাঁর ধর্ম ও নীতি মেনে চলার কারণে মৃত্যুর পরেও স্বশরীরে স্বর্গে পৌঁছাতে সক্ষম হন। সেখানে তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং সহযোদ্ধাদের দেখতে পান।
কুকুরের পরিচয়: যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে থাকা কুকুরটি ছিল আসলে ধর্মরাজ যমরাজ, যিনি যুধিষ্ঠিরকে পরীক্ষার জন্য সাথে ছিলেন।
স্বর্গ ও নরক: যখন যুধিষ্ঠির স্বর্গে পৌঁছান, তখন তিনি তাঁর আত্মীয়দের, বিশেষ করে তাঁর ভাইদের, নরকে থাকতে দেখেন। এই দেখে তিনি ব্যথিত হয়ে সেস্থানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবতারা তাঁকে ব্যাখ্যা করেন যে, পাপ ও পুণ্যের ফল ভিন্ন হওয়ার কারণে তাঁদের এই দশা হয়েছে।
মহাপ্রস্থানিক পর্ব: এটি মহাভারতের অন্যতম একটি পর্ব, যেখানে এই যাত্রার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এটি ৩টি অধ্যায়ে বিভক্ত এবং এই পর্বটিই ছিল মহাভারতের ক্ষুদ্রতম পর্ব।
