বয়স মাত্র ১৫। ভালো করে এখনও গোঁফের রেখাও ওঠেনি। যে বয়সে মাধ্যমিক দেওয়ার কথা, সেই বয়সে কোয়ান্টাম ফিজিক্স-এর মতো কঠিন বিষয়ে ডক্টরেট (পিএইচডি) অর্জন করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিশোর। বেলজিয়ামের এই ‘খুদে আইনস্টাইন’ লরেন্ট সাইমনস এখন বিশ্বজুড়ে চর্চার কেন্দ্র। গত সপ্তাহে অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস জমা দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী পিএইচডিধারী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিস্ময় কিশোর লরেন্স অত্যন্ত মেধাবী ও প্রতিভাবান ছাত্র। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, পিএইচডি অর্জনের আগে মাত্র ৮ বছর বয়সে হাইস্কুল পাশ করেন লরেন্ট।
এরপর ১২ বছর বয়সে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লরেন্ট পদার্থবিদ্যার জটিল গবেষণায় অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, সুপারফ্লুইড এবং সুপারসলিড সিস্টেমে বোস পোলারন, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটে ইন্টার্নশিপের সময়, তিনি কোয়ান্টাম অপটিক্স এবং এআই-চালিত প্লাজমা বিশ্লেষণ ব্যবহার করে প্রাথমিক ক্যান্সার শনাক্তকরণের উপর কাজ করেছেন। এই কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে ক্যান্সার রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে সঠিকভাবে পার্থক্য করা যায়।’
