সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে হিন্দু ধর্মের মানুষ। তাই সারা বিশ্বে হিন্দু ধর্মের মানুষেরা মঠ, মন্দির স্থাপন করে স্বধর্ম পালন করেন।
আফ্রিকায় অনেক হিন্দু মন্দির রয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অবস্থিত BAPS হিন্দু মন্দির ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য। এটি আফ্রিকা এবং দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম হিন্দু মন্দির হিসেবে পরিচিত, যা কেবল উপাসনার স্থান নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। অন্যান্য আফ্রিকান দেশ, যেমন তানজানিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা এবং মরিশাসেও অনেক হিন্দু মন্দির বিদ্যমান।
প্রধান কিছু মন্দির ও তাদের বৈশিষ্ট্য
- BAPS হিন্দু মন্দির, জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা:
এটি দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম হিন্দু মন্দির কমপ্লেক্স এবং এটি ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। মন্দিরটি শুধু উপাসনার জন্য নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে, যেখানে শিল্পকলা, সঙ্গীত, ভাষা এবং অন্যান্য সংস্কৃতি চর্চা করা হয়। এর নকশার মধ্যে আফ্রিকান এবং ভারতীয় উভয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধনকে তুলে ধরে। - শ্রী জগন্নাথ পুরী মন্দির, দক্ষিণ আফ্রিকা:
এটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ঐতিহাসিক মন্দির, যা ১৮৯৫ সালে পণ্ডিত শীষকিশন মহারাজ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল।
এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী এবং এর চারপাশে পরিখা খনন করা হয়েছে, যা যুদ্ধপ্রিয় দেবতা জগন্নাথকে উৎসর্গীকৃত। - অন্যান্য আফ্রিকান মন্দির:
পূর্ব আফ্রিকায় (যেমন তানজানিয়া, উগান্ডা, কেনিয়া) অনেক অভিবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে এবং সেখানেও বিভিন্ন হিন্দু মন্দির দেখা যায়। পূর্ব আফ্রিকার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মরিশাসেও অসংখ্য হিন্দু মন্দির রয়েছে।
