দেবী শীতলার সঙ্গে আদ্যা শক্তির একটা ক্ষীণ সম্পর্ক থাকলেও তাঁর পুজোর প্রচলন হয় কিন্তু মধ্যযুগের শেষের দিকে। শীতলা পূজা হিন্দু দেবীর আরাধনা যা রোগ নিরাময়কারী হিসেবে পরিচিত। দেবীর ইতিহাস হল তিনি আদ্যাশক্তি দুর্গার একটি রূপ, যিনি বসন্ত, চর্মরোগ এবং অন্যান্য রোগ নিরাময় করতে পারেন। তাঁর ইতিহাস পৌরাণিক কাহিনী, লোককথা এবং মঙ্গলকাব্য-এর মাধ্যমেও পাওয়া যায়।
- পৌরাণিক ইতিহাস
শীতলা দেবী দুর্গার একটি অবতার, যিনি পক্স, ঘা, ব্রণ এবং ফুসকুড়ির মতো রোগ নিরাময় করেন। কিছু লোককথা অনুসারে, তিনি ব্রহ্মার কন্যা এবং কার্ত্তিকেয়ের স্ত্রী ছিলেন।
লোককথা এবং ঐতিহ্য
বাংলায়, মাঘ মাসে বা চৈত্র মাসে শীতলা ষষ্ঠী পালিত হয়।
পূজার সময় ঠান্ডা খাবার এবং শীতল ফল (যেমন পেঁপে, তরমুজ, কলা) ব্যবহার করা হয়।
পূজার একটি বিশেষ দিক হলো ‘অরন্ধন’ বা ‘ঠাণ্ডা উপোস’, যেখানে উনুন জ্বালানো হয় না এবং আগের রাতে রান্না করা ঠান্ডা খাবার খাওয়া হয়।
দেবীকে প্রায়শই গাধার পিঠে বসা অবস্থায় দেখানো হয়, যা তাঁর সহনশীলতা এবং পরিশ্রমী প্রকৃতির প্রতীক। - তাঁর হাতে ঝাঁটা থাকে, যা অশুভ শক্তি দূর করার প্রতীক।
- তাৎপর্য
শীতলা দেবী শুধুমাত্র রোগ নিরাময়কারী নন, তিনি দুর্ভিক্ষ এবং খরা থেকেও রক্ষা করেন এবং গবাদি পশুদের রক্ষা করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
তিনি বসন্তের দেবী হিসাবে পরিচিত এবং এই রোগের নিরাময়ের জন্য তাঁর পূজা করা হয়।
