নবান্ন উৎসব সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে নতুন আমন ধান কাটার পর অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল ভিত্তি হলো নতুন ধান থেকে তৈরি চালের প্রথম অন্ন রান্না ও তার উদযাপন। এর ইতিহাস হলো এটি বাঙালির একটি প্রাচীন ফসল কাটার উৎসব, যা নতুন শস্য ঘরে তোলার আনন্দ এবং দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত।
- কবে অনুষ্ঠিত হয়?
সাধারণত: বাংলা অগ্রহায়ণ মাস (হেমন্তকাল), যখন আমন ধান পাকে।
কিছু অঞ্চলে: মাঘ মাসেও এই উৎসব পালনের প্রথা দেখা যায়।
- নবান্ন উৎসবের ইতিহাস
নামের অর্থ: “নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন” বা “নতুন ভাত”।
মূল উদ্দেশ্য: নতুন আমন ধান কাটার পর, সেই ধান থেকে উৎপন্ন চাল দিয়ে প্রথম রান্না করা হয় এবং এই উপলক্ষে এই উৎসবটি পালিত হয়।
- ঐতিহ্য: বাংলার কৃষিজীবী সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাচীন উৎসব, যা নতুন ফসল এবং তার ফলস্বরূপ ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।
- ধর্মীয় ও সামাজিক তাৎপর্য:
এই উৎসবে দেবী অন্নপূর্ণার পুজো করা হয়, যাতে খাদ্যশস্যের অভাব না হয়।
নতুন গুড় দিয়ে নতুন চালের তৈরি খাবার রান্না করে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগ করা হয়।
কাকদের উদ্দেশ্যে “কাকবলী” নামক নৈবেদ্য নিবেদন করার একটি প্রথা আছে, যার মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের কাছে খাদ্য পৌঁছে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
- ঐতিহ্যবাহী উপকরণ: এই সময়ে কচি বাঁধাকপি, আমলকি, মাছ ইত্যাদি নুন দিয়ে জারিয়ে শুকিয়ে রাখারও একটি পুরনো প্রথা ছিল।
