www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

November 21, 2025 5:17 pm

দেবী লক্ষ্মী পুজোর ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং এর উৎপত্তি বৈদিক ও লৌকিক উভয় ঐতিহ্যেই নিহিত।

দেবী লক্ষ্মী পুজোর ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং এর উৎপত্তি বৈদিক ও লৌকিক উভয় ঐতিহ্যেই নিহিত। লক্ষ্মী মূলত শস্য ও সমৃদ্ধির দেবী হিসেবে, যা পরে পুরাণে বিষ্ণুপত্নী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে, যেমন – কোজাগরী পূর্ণিমা, দীপাবলি এবং প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।

  • দেবী লক্ষ্মীর উৎপত্তির ইতিহাস বৈদিক উৎস: প্রাচীন বেদে ঊষা দেবীর রূপে লক্ষ্মীর উল্লেখ পাওয়া যায়, যিনি সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হতেন।
  • পৌরাণিক উৎস: গরুড় পুরাণ, পদ্ম পুরাণ এবং লিঙ্গ পুরাণ অনুযায়ী, লক্ষ্মী ছিলেন ঋষি ভৃগু এবং তার স্ত্রী ক্ষ-এর কন্যা, যার নাম ছিল ভার্গবী।
  • সমুদ্র মন্থন: বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, দেবতা ও অসুরদের সমুদ্র মন্থনের সময় ক্ষীর সাগরের গভীর থেকে লক্ষ্মীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়।
  • লক্ষ্মী পুজোর ইতিহাস ও তাৎপর্য
  • কৃষিনির্ভর সমাজ: প্রাচীনকাল থেকেই সাধারণ কৃষক সমাজে শস্য ও ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে লক্ষ্মীর পূজা প্রচলিত ছিল, যা পরবর্তীতে বৈদিক লক্ষ্মীর সঙ্গে মিশে যায়।
    কোজাগরী পূর্ণিমা: এই পূর্ণিমার রাতে লক্ষ্মী পূজা করা হয়, যার তাৎপর্য হলো ‘কে জেগে আছো?’ অর্থাৎ দেবী জিজ্ঞাসা করেন কে তার জন্য জেগে আছে, যে জেগে থাকবে তাকে তিনি সম্পদ দান করবেন।
  • প্রতি বৃহস্পতিবার: প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পূজা করা বাঙালি পরিবারের একটি প্রাচীন রীতি।
  • দীপাবলি: দীপাবলি উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো লক্ষ্মী পূজা। এই উৎসবটি মূলত ভগবান রামের ১৪ বছরের বনবাস শেষে অযোধ্যায় ফিরে আসার স্মরণে পালিত হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *