কলিযুগে শিবপুজোকে শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যা করা হয়েছে শিব পুরাণে। সৃজন ও মোক্ষের দেবতা শিব। কলিযুগে শিব সর্বদা সর্বব্যাপী। কলিযুগের প্রত্যক্ষ দেবতা তিনি। কলিযুগ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে সমস্ত যুগের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ হল এই কলিযুগের। আবার এই যুগে ঈশ্বরকে পাওয়া অত্যন্ত সরল। শিব পুরাণে কলিযুগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রহস্যের উল্লেখ রয়েছে। শিব পুরাণ অনুযায়ী কলিযুগে শিবলিঙ্গের পুজোর চেয়ে শ্রেষ্ঠ অন্য কিছু নেই। শিব পুরাণে সূতজী জানিয়েছেন, শিবলিঙ্গ ভোগ ও মোক্ষ প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ শিবলিঙ্গের পুজো করলে ব্যক্তি সাংসারিক সুখ-সুবিধার পাশাপাশি মোক্ষ লাভ করে থাকেন।
শিব পুরাণে তিন ধরনের শিবলিঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। উত্তম, মধ্যম ও অধম শিবলিঙ্গ। চার আঙুল উঁচু, দেখতে সুন্দর ও বেদী যুক্ত শিবলিঙ্গকে মহর্ষিরা উত্তম বলেছেন। এর থেকে অর্ধেক মধ্যম ও তারও অর্ধেককে অধম মনে করা হয়। শিব পুরাণ অনুযায়ী সমস্ত মনুষ্য শিবলিঙ্গের পুজো করতে পারেন। বৈদিক মন্ত্রের দ্বারা শিবলিঙ্গের পুজো করা লাভজনক। মহিলারাও শিবলিঙ্গ পুজোর অধিকারী। তবে বৈদিক পদ্ধতি মেনে শিবলিঙ্গের পুজো শ্রেষ্ঠ। সমস্ত নিয়ম মেনে নৈবেদ্য সহকারে শিবের পুজো করে তাঁর ত্রিভূবনময়ী আট মূর্তির পুজোও করুন। শঙ্করের আটটি মূর্তি হল– পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, সূর্য, চন্দ্র ও যজমান। এই অষ্টমূর্তির পাশাপাশি শর্ব, ধব, রুদ্র, উয়, ভীম, ঈশ্বর, মহাদেব ও পশুপতি নামেরও পূজার্চনা করা উচিত। ঈশান, নন্দী, চণ্ড মহাকাল, ভৃঙ্গী, বৃষ, স্কন্দ, কপর্দীশ্বর, সোম ও শুক্র শিবের পরিবার। দশ দিকে এঁরা পূজনীয়। এর পর শিবের সমক্ষে বীরভদ্র ও পশ্চাতে কীর্তির পুজো করে নিয়ম মেনে ১১ রুদ্রের পুজো করা উচিত।b
