তিনি বীরভূমের আটলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং তারাপীঠে বাস করতেন, যেখানে দেবী তারাকে “বড় মা” বলে ডাকতেন। কৈলাসপতি বাবার শিষ্য হিসেবে তিনি যোগব্যায়াম ও তন্ত্রসাধনায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং তারাপীঠের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
- জীবন কাহিনী
- জন্ম ও ছোটবেলা: বামাচরণ চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: ১২ ফাল্গুন ১২৪৪, ইংরেজি ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৭) বীরভূমের আটলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার बचपन শ্মশানে বা জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে কাটতো এবং গ্রামবাসীরা তাকে “ক্ষ্যাপা” বা পাগল বলতে শুরু করে, যার থেকে তার নাম হয় বামাক্ষ্যাপা।
- গুরু ও সাধনা: অল্প বয়স থেকেই তিনি বাড়ি ছেড়ে তারাপীঠে চলে যান এবং কৈলাসপতি বাবার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এখানে তিনি যোগব্যায়াম ও তন্ত্রসাধনায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
- তারাপীঠে জীবন: তিনি তারাপীঠ মন্দিরের কাছে শ্মশানে বাস করতেন এবং ধ্যান করতেন। তিনি দেবী তারার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন এবং তাকে “বড় মা” বলে ডাকতেন।
- রামকৃষ্ণের সমসাময়িক: তিনি ছিলেন রামকৃষ্ণের সমসাময়িক সাধক।
- মৃত্যু: ১৯১১ সালের ২ শ্রাবণ (১৮ই জুলাই) তার জীবনাবসান ঘটে।
- উল্লেখযোগ্য তথ্য
নামকরণ: “ক্ষ্যাপা” শব্দের অর্থ ‘পাগল’, যা গ্রামবাসীদের দেওয়া একটি উপাধি ছিল।
আধ্যাত্মিক প্রভাব: তিনি তারাপীঠের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
অদ্ভুত আচরণ: তার জীবন কাহিনীতে অনেক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ আছে, যেমন শ্মশানের কাছে বা জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে থাকা।
