চন্দননগর মানেই যেন জগদ্ধাত্রী পুজো! আর চন্দন নগরের অন্যতম একটি পুজো হলো – সার্কাস মাঠের পুজো। এই বছর ৫৫তম বর্ষে পা রেখে এই পুজো যেন শহরবাসীকে এক নতুন স্বপ্ন দেখাল। এ বার মণ্ডপের সজ্জায় মিশেছে পাহাড়ের শান্ত স্নিগ্ধতা—যা প্রবেশ মাত্রই দর্শকদের মনে এনে দেবে এক অনাবিল শান্তি। পুজো কমিটি প্রতি বছরই নতুন কিছু উপহার দেয়, আর সেই ধারা বজায় রেখেই যেন এ বার মণ্ডপে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। পাহাড়ের মেজাজ নিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়বে সিদ্ধিদাতা গণেশের প্রতিমা। তার পাশেই রয়েছে দেবাদিদেব মহাদেবের বিশাল মূর্তি। আর একে বারে শেষে, গর্ভগৃহে অধিষ্ঠাত্রী দেবী জগদ্ধাত্রী। দেবীর মুখে আছে অনাবিল শান্তির ছবি।
চন্দননগরের বহু পুজোর মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই সার্কাস মাঠের পুজো। প্রতি বারের মতোই প্রতিমার উচ্চতা তাক লাগানোর মতো। এই বারের প্রতিমার নাম রাখা হয়েছে — ‘রাজরানি’। সুবর্ণ অলঙ্কার, লাল বেনারসি শাড়িতে সেজে হাস্যময়ী দেবী যেন সত্যিই এক রাজকীয় রূপে বিরাজ করছেন। দেবীর মূর্তির ঠিক উপরেই স্থান পেয়েছেন জগন্নাথ দেব। চলছে অঘোরীদের লাইভ পারফর্মেন্স। এ বারের মণ্ডপসজ্জার সৃজনে রয়েছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শ্রী গৌরাঙ্গ কুইল্যা। তাঁর নিপুণ হাতেই এই আধ্যাত্মিক মণ্ডপ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এই পুজো কেবল আরাধনাই নয়, এই পুজোয় আছে এনটারটেন্টমেন্ট-এর রসবোধ, আছে আকর্ষণ আর ছন্দ।
