বেশ চলছিল উৎসবের মেজাজ। আর এর মধ্যেই বিভ্রাট ঘটেলো কাকদ্বীপ। তৈরী হলো সাম্প্রদায়িক গোলযোগের পরিস্থিতি। কালীপ্রতিমা ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে কাকদ্বীপের সূর্যনগরে ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই রাজ্য পুলিশের তরফে X হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে। রাজ্য় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “কাকদ্বীপের একটি ঘটনা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। আসল কথা হল সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মন্দিরের কাছে একটি ভাঙা প্রতিমা পাওয়া গিয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, সে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, “যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বিগ্রহটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। তার ফলে অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে। তাই তড়িঘড়ি পুলিশ অবরোধ তুলতে যায়। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হৃয়। পরে ভাঙা প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে।” এই ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই থমথমে গোটা এলাকা। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কালীমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার X হ্যান্ডেলে ভিডিও পোস্ট করেন। এভাবে বাংলায় হিন্দুদের ভাবাবেগকে আঘাত করা হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর।