আজ দশমী। বিকেলেই হয়তো শুরু হয়ে যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন। পাঁজি মেনে আজ দশমী। বিসর্জনের পালা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পড়ায় অধিকাংশ পুজোমণ্ডপে আজ সপরিবার থাকছেন উমা। শুক্রবার থেকে ঘাটে বিসর্জনের চাপ বাড়বে। সুষ্ঠুভাবে নিরঞ্জনপর্ব যাতে সম্পন্ন হয়, সেজন্য কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আজ থেকে ঘাটে নিযুক্ত রয়েছেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। বুধবার নবমীর দুপুরে পুর কমিশনার ধবল জৈন সব বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে ঘাটের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। প্রতিটি ঘাটে একজন করে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। বিসর্জন কাজে তদারকি করবেন তাঁরা। ঘাট চত্বরে থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স।
ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিসর্জনের পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে কলকাতা পুলিশ। বাড়ি ও বারোয়ারি মিলিয়ে কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুজো হয়। এর মধ্যে বাড়ির প্রায় ২৫০টি। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন হয়। আজ, দশমীর ভিড় সামলানোর পাশাপাশি ঘাটে নিরঞ্জন পর্বও সামলাতে প্রস্তুত রয়েছে লালবাজার। ঘাটে পাড়ে আজ থেকে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকছে। গঙ্গায় টহল দেবে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ। ড্রোন দিয়ে আকাশপথে নজরদারি চালানো হবে। বসানো হয়েছে অতিরিক্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। জল পুলিশের দপ্তরে একটি রেসকিউ টিম তৈরি থাকছে। সেখানে থাকছেন পাঁচজন ডুবুরি।