লন্ডনের সবচেয়ে পুরনো পুজোর ঐতিহ্য বহন করে চলছে ক্যামডেন। লন্ডনের পরিচিত মুখ ডঃ আনন্দ গুপ্তের তত্ত্বাবধানে এই পুজো আজও এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে, তার সঙ্গে অন্য মাত্রা পেয়েছে শিল্পপতি লক্ষী মিত্তালের পৃষ্ঠপোষকতা।সালটা ছিল ১৯৬৩। সেই সময় লন্ডনে হাতে গোনা কয়েকজন বাঙালিই ছিলেন। তবে এই যে কথায় আছে, বাঙালির হৃদয় থেকে দুর্গাপুজো বাদ দেওয়া যায় না। যেক’জন বাঙালি সেই সময় লন্ডনে ছিলেন, তাদের সদিচ্ছাতেই শুরু হয় মায়ের আরাধনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ টেমসের ধারে সেই পুজো লন্ডনের সবচেয়ে দর্শনীয় পুজো হয়ে উঠেছে । রৌদ্রজ্জ্বল আকাশে পেঁজা তুলোর মতন মেঘ, হালকা ঠান্ডা অনুভূতি জানান দেয় উমা এসেছে। মা ঘরে আসার এই অনুভূতি নিয়ে এবারের থিম ‘মা’। কলকাতা থেকে কয়েকশো মাইল দূরে থেকেও মায়ের আবাহনে এতটুকু খামতি নেই লন্ডন ক্যামডেন দুর্গা পুজোয়।
হঠাৎ করে সুইস কটেজ লাইব্রেরির অন্দরে আপনি পা দিলে চমকে উঠবেন। মনে হবে লন্ডন নয়, আপনি হয়তো ভুল করে টাইম মেশিনে কলকাতায় চলে এসেছেন। আপনার ভুল ভাঙার আগেই দেখবেন আপনার হাতে চলে এসেছে কলকাতার ফুচকা,সুস্বাদু বিরিয়ানি। বসেছে গড়িয়াহাটের মতো শাড়ির মেলাও। কী নেই সেই জায়গায়। চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তির সামনে দাঁড়িয়েও দেখবেন। আশেপাশে বাঙালিরাই আপনাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। একটা যৌথ পরিবারের যেমন সম্পর্ক হয়, তাদের যেমন পুজো হয়, সেই আবহই সৃষ্টি করে এই পুজো। ষষ্ঠীতে মায়ের বোধন থেকে সমস্ত নিয়ম আচার মেনে দশমীতে মায়ের বিসর্জন পর্যন্ত- সবটাই এই পুজোতে আছে । সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল কুমারী পুজো। টেমসের তীরে কুমারী পুজো দেখতে সুইস কটেজ লাইব্রেরিতে উপচে পড়ে ভিড়।