বাংলার দুর্গাপুজো মানেই থিমের ছাড়াছড়ি। থিম হয় সব সময় প্রতীকী। ছোট কিছুর মধ্য দিয়ে বড়ো কোনো ঘটনাকে দেখানোই হল -‘থিম’। প্রতি বছরই শহরের নামী পুজোগুলিতে উঠে আসে অভিনব ভাবনা। এ বার সেই তালিকায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে দমদম পার্ক তরুণ সংঘ। তাদের ৪০’তম বর্ষের দুর্গোৎসবের থিমে ফুটে উঠেছে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি অমর বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ব্যোমকেশ বক্সী’। মণ্ডপের প্রতিটি কোণ সাজানো হয়েছে সত্যান্বেষীর নানা রহস্য কাহিনিকে কেন্দ্র করে। দর্শনার্থীরা যেন একটি রহস্যভেদের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন, এমনই আবহ তৈরি হয়েছে এই পুজো মণ্ডপে।
কল্পিত কাহিনি অনুযায়ী, দুর্গাসুন্দরীর কণ্ঠহার চুরির ঘটনা ঘিরে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। ফলে পুজোপ্রেমীরা ব্যোমকেশের সঙ্গী হয়ে রহস্যভেদে সামিল হচ্ছেন। শিল্পী অনির্বাণ দাসের নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে গোটা মণ্ডপসজ্জা। তিনি জানান, ব্যোমকেশ কোনও সুপারহিরো নয়, বরং সংসারী, বাস্তববাদী চরিত্র, যা সাধারণ বাঙালির জীবনের সঙ্গেই মিশে আছে। তাই তাঁকেই এভাবে থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কমিকসের আদলে ফুটে উঠেছে ব্যোমকেশের নানা অভিযান। অর্থমনর্থম, মাকড়সার রস, আদিম রিপু- এরকম একাধিক গল্প কমিক ফ্রেমে তুলে ধরা হয়েছে। কাঠ, লোহা ও প্লাইউড দিয়ে তৈরি হয়েছে এই অভিনব মণ্ডপ। এখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন।