মা আসছেন। প্রকৃতিতে বাজছে তারই আগমনী। সেই উপলক্ষকে সামনে রেখেই আজ সন্ধ্যায় কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠে অনুষ্ঠিত হলো আগমনী সংগীত সন্ধ্যা।
যোগভক্তি মার্গের সিদ্ধ সাধক ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের শেষ জীবনের সাধন ভূমি কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনে আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো আগমনী সংগীত সন্ধ্যা।
মঠের আবাসিক ছাত্রদের মন্ত্রোচ্চারণ এবং সমবেত প্রার্থনার পর শুরু হয় আজকের অনুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশনে ছিলেন সুকন্যা সম্প্রদায়। পরিচালনায় ছিলেন শ্যামলী ভট্টাচার্য। সংগীতে অংশগ্রহণ করেন সুজিত চক্রবর্তী, জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায়, মিতা নাগ। পরবর্তী পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন অলক চক্রবর্তী এবং সমর কুমার চট্টোপাধ্যায়। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন বাপি এবং লালটু দাস। তাল বাদ্যে ছিলেন নারায়ণ মুখোপাধ্যায় এবং তরুণ চক্রবর্তী। সঞ্চালনায় ছিলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
এই অনুষ্ঠানের সামগ্রিক পরিকল্পনায় ছিলেন নগেন্দ্র মিশনের সভাপতি গৌরহরি শাসমল এবং শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস বোস।
শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সম্পাদক ড. রবীন্দ্রনাথ কর এ প্রসঙ্গে বলেন, মহর্ষিদেব সাধনার ক্ষেত্রে সংগীতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা আমাদের মঠে প্রায়ই সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এই আগমনী সন্ধ্যা তারই একটা অঙ্গ।
মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রপৌত্রীর পুত্র ডঃ শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পরমার্থ সংগীত তাঁর সাধনার ফসল। তাঁর প্রেরণায় তাঁর সংগীত ধারার উত্তরাধিকার বহন করেছিলেন ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারী। সেই আদর্শ সামনে রেখেই আমাদের মঠ এবং মিশনের পক্ষ থেকে সাধন সংগীত চর্চায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আজকের আয়োজনের উদ্দেশ্যও এরই অন্তর্গত।