চিরাচরিত রীতি মেনে ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের শেষ জীবনের সাধন ভূমি কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনে আজ আয়োজিত হলো গণতর্পণ। মূল মন্দিরে ফুল, ধূপে শ্রদ্ধার্পণ, মন্ত্রোচ্চারণ, সমবেত প্রার্থনার পর ছিল গণতর্পণ।
আজ সকালে মূল মন্দিরে বিশেষ পূজা হয় রাধা-কৃষ্ণ, ভগবান শিব, দেবী কালী এবং ভক্তদের অনুভবে যিনি বহিরঙ্গে শিব, অন্তরঙ্গে বিষ্ণু – সেই মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের। সঙ্গে তাঁর মানসপুত্র ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারী মহারাজ এবং ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারী মহারাজের ত্যাগী শিষ্য ভক্তিপ্রকাশ ব্রহ্মচারী মহারাজের।
গতকাল থেকেই ছিল গণতর্পণের জন্য প্রস্তুতি পর্ব। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আবাসিক ছাত্ররা এবং ভক্তবৃন্দ।
আজ সকাল থেকে গণতর্পণ ছাড়াও ভক্তেরা পূজা ও আরতিতে অংশ নিতে মন্দিরে ভিড় জমান।
এই গণতর্পণ পরিচালনায় ছিলেন নগেন্দ্র মিশনের সভাপতি গৌরহরি শাসমল এবং কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় ভট্টাচার্য। সহযোগিতায় ছিলেন সমর চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস বোস।
শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সম্পাদক ড. রবীন্দ্রনাথ কর এ প্রসঙ্গে বলেন, মহর্ষিদেবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, প্রচলিত রীতি মেনে প্রতি বছরই ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এখানে গণতর্পণের আয়োজন করা হয়।
মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রপৌত্রীর পুত্র ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ এবং ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশিত সনাতন ধর্মের রীতি-নীতি পালনের আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের মঠে প্রতিবছরই গণতর্পণের আয়োজন করা হয়। এ বছরও সেই রীতি বজায় রাখা হয়েছে।