দঃ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো হয়তো জৌলুস অনেকটা হারিয়েছে কিন্তু ঐতিহ্য সম্পূর্ণ ধরে রেখেছে। পূর্ববঙ্গের ঢাকার বিক্রমপুর বাইনখাঁড়া গ্রামে ৪৪১ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। এ বছর পুজো ৪৪১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। পুজোর জৌলুস কমলেও, এখনও তার বনেদিয়ানাতে এতটুকু ঘাটতি পড়েনি। সমস্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়িতে। শহরতলির থিমের পুজোকে টেক্কা দিয়ে প্রতিদিন রীতিমতো দর্শকদের ভিড় জমে দুর্গা দর্শনের জন্য। প্রায় ৪৪১ বছর আগে বাংলাদেশে এই ভট্টাচার্যদের বংশধররা শুরু করেছিলেন মা দুর্গার পূজা। পূজা শুরুর প্রায় শতাধিক বছর পর এই ভট্টাচার্য বাড়িতে ঘটে দুর্ঘটনা।
পরিবারের সদস্যদের কথায়, বাড়িতে দেবী দুর্গার মন্দিরের পাশে ছিল দেবী মনসার মন্দির। পুরোহিত মহাশয় মনসা পুজো করে দুর্গা পুজো করতে এলে একটি কাক মনসা মন্দিরের ঘি-য়ের প্রদীপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পড়ে যায়। আর তাতেই পুড়ে যায় দুর্গা মন্দির। এরপর এই বাড়ির মানুষজন ভাবেন দেবী দুর্গা বোধহয় তাঁদের পুজো আর চাইছেন না। সেই মোতাবেক পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এমন অবস্থায় একদিন রাতে স্বপ্নাদেশ পান এই পরিবারের তৎকালীন গৃহকর্তা রামকান্ত ভট্টাচার্য। দেবী দুর্গা স্বপ্নাদেশ দেন যে তাঁর পুজো যেন কোনওভাবেই বন্ধ না থাকে, যেন তাঁকে পুজো করা হয়। এমন স্বপ্ন পাওয়ার পর থেকে আজও দেবীর মূর্তিতেই বছরের পর বছর চলে আসছে ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো।