রামায়ণে, ঋষি বাল্মীকির অভিশাপ হলো প্রথম সংস্কৃত কাব্যিক শ্লোক, যা তিনি এক শিকারীকে এক জোড়া পাখিকে মেরে ফেলার পর রাগে ও দুঃখে উচ্চারণ করেছিলেন। এই শ্লোকটিই ছিল প্রথম এবং এর ওপর ভিত্তি করে বাল্মীকি রামায়ণ রচনা করেন। ভগবান ব্রহ্মা তাঁর এই শ্লোক শুনে তাঁকে রামায়ণের পুরো কাহিনী লিখতে নির্দেশ দেন, যার ফলে বাল্মীকি ‘আদিকবি’ বা প্রথম কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
- ঘটনা: বাল্মীকি যখন তমসা নদীর তীরে ছিলেন, তখন তিনি এক শিকারীকে একটি পুরুষ পাখিকে তীর মেরে ফেলে দিতে দেখেন।
- প্রতিক্রিয়া: মৃত পাখিটির শোকে কাতর সঙ্গী পাখিটিকে দেখে বাল্মীকির মনে গভীর দুঃখ ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়।
- শ্লোক: এই গভীর আবেগ থেকে তাঁর মুখ থেকে প্রথম শ্লোকটি বের হয়, যা ছিল একটি অভিশাপ, “মা নিষাদ প্রতিমাং ত্বমগমাঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ” (হে নিষাদ, তুমি আর কখনও এক সাথে থাকার মর্যাদা পাবে না)।
- প্রথম কাব্যিক শ্লোক: এই অভিশাপটিই ছিল প্রথম সংস্কৃত কাব্যিক শ্লোক বা ছন্দ, যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্ষর ও চরণ ছিল।
- রামায়ণের সৃষ্টি: এই শ্লোক শুনে ভগবান ব্রহ্মা আবির্ভূত হন এবং বাল্মীকিকে এই ছন্দে ভগবান রামের সমগ্র জীবন কাহিনী রচনা করার নির্দেশ দেন।
- আদিকবি: এই ঘটনার মধ্য দিয়েই বাল্মীকি প্রথম কবি বা আদিকবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং এই প্রথম শ্লোকটিই পরবর্তীকালে পুরো রামায়ণের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।