একটা সময় মানুষের ধারণা ছিল রাজনীতি ও ধর্মাচরণ দুটি পৃথক বিষয়। এই দুটি বিষয়কে কখনোই মেশানো উচিত নয়। কিন্তু এখন কনসেপ্ট পাল্টেছে। পুজোর মাধ্যমে যে ডিভিডেন্ট পাওয়া যায় তা বুঝতে পেরেছেন রাজনীতির মানুষেরা। সেই পথ ধরেই এ বছর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এক হাজারের বেশি পুজোর উদ্বোধন করতে চলেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শারদোৎসবের সূচনা হবে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো দিয়ে । ওইদিন শারদোৎসবের উদ্বোধন করলেও প্রতিমার উদ্বোধন করবেন না মমতা । মহালয়া থেকেই ফুল নিবেদন করে প্রতিমার মুখ উন্মোচন করবেন তিনি । গত কয়েক বছর ধরেই টানা তিনদিন ধরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলার পুজোর উদ্বোধন হয়ে আসছে । সূত্রের খবর, এবারও তাই হবে ৷ জেলা থেকে প্রায় এক হাজারেরও বেশি পুজো প্যান্ডেলে উদ্বোধনের অনুরোধ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে । এই মুহূর্তে নবান্নে চলছে শেষ মুহূর্তের ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ । মহালয়ার আগের দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর উদ্বোধন শুরু করবেন ।
শুরু হয়ে গেলো উৎসবের মেজাজ। এবার বাংলা জুড়ে শুধুই উৎসব, উৎসব আর উৎসব। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, তাতে মহালয়ার দিন রাজ্যের শাসকদলের উৎসব সংখ্যার সূচনা ছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুজো এবং অপর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুজোর উদ্বোধন-সহ একাধিক পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী । সেদিন থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলার পুজোর উদ্বোধনের কাজ শুরু করবেন তিনি ৷ ইতিমধ্যেই কোন কোন জেলায়, কোন কোন পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন হবে, তার তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে ।যেসব পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী করবেন, সেগুলির উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি শেষ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন । বিশেষত কলকাতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জেলাগুলিও এবার নিজেদের প্যান্ডেল, প্রতিমা ও থিমে নতুনত্ব আনতে চেষ্টা করছে । এবারের বিশেষ আকর্ষণ, মহালয়ার দিনই মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণীর পুজোতে দেবী দুর্গার চক্ষুদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখান থেকেই সূচনা হবে ভার্চুয়াল উদ্বোধনের । এরপর জেলায় জেলায় একাধিক পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন তিনি । এর ফলে জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে যথেষ্ট উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।