www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

September 17, 2025 4:39 pm

সীতা হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কেন্দ্রীয় বা প্রধান নারী চরিত্র যিনি জনকপুরে জন্মগ্রহণ করেন

সীতা পরিচয়

সীতা হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কেন্দ্রীয় বা প্রধান নারী চরিত্র যিনি জনকপুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী তিনি ছিলেন হিন্দু অবতার শ্রীরামের পত্নী, সঙ্গী এবং ধনসম্পদের দেবী, শক্তিরূপা লক্ষ্মীর অবতার। হিন্দুসমাজে তাকে আদর্শ স্ত্রী তথা আদর্শ নারীর উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয়। সীতা মূলত তার উৎসর্গীকরণ, আত্মবিসর্জন, সাহসিকতা এবং বিশুদ্ধতার জন্যে পরিচিত হয়। সীতা নবমীতে সীতা দেবীর জন্ম-উৎসব পালন করা হয়।

‘অদ্ভুত রামায়ণ’ থেকে জানা যায়, সীতা নাকি রাবণ ও মন্দোদরীর কন্যা। তার জন্মের আগে গণকরা জনিয়েছিলেন, তিনি নাকি রাবণের ধ্বংসের কারণ হবেন। তাই রাবণ তাঁকে পরিত্যাগ করেন। ‘আনন্দ রামায়ণ’ নামক গ্রন্থে বলা হয়েছে, রাজা পদ্মাক্ষের কন্যা পদ্মাই নাকি পরবর্তী জন্মে সীতা হন। রাবণ পদ্মার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মাহুতি দেন। পরজন্মে তিনিই সীতা হিসেবে অবতীর্ণা হন এবং রাবণের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ান। অযোনিসম্ভূতা দেবী সীতা দ্বাপর যুগে অযোনিসম্ভূতা দেবী রাধা রূপে বৃন্দাবনে অবতীর্না হন। আর একটি প্রচলিত ধারণা এই— সীতা পূর্বজন্মে ছিলেন বেদবতী নামে এক পুণ্যবতী নারী। রাবণ তার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি রাবণকে অভিশাপ দেন যে, তিনি পরবর্তী জন্মে রাবণকে হত্যা করবেন।

রামায়ণ অনুসারে, জনক যজ্ঞের উদ্দেশ্যে লাঙল দিয়ে হলকর্ষণ করার সময় তাকে খুঁজে পেয়েছিলেন এবং তাকে দত্তক নেন। সীতা শব্দটি একটি কাব্যিক শব্দ, যা উর্বরতা এবং বসতিবদ্ধ কৃষি থেকে আসা প্রভূত সৌভাগ্যকে বোঝায়। রামায়ণের সীতার নাম হয়ত আরও প্রাচীন বৈদিক দেবী সীতার নামে রাখা হয়েছে, যাকে ঋগ্বেদে একবার মাটির দেবী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জমিতে ভালো ফসল দিয়ে আশীর্বাদ করেন। বৈদিক যুগে, তিনি উর্বরতার সাথে যুক্ত দেবীদের একজন ছিলেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *