www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

September 17, 2025 4:57 pm

আজ বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো। হিন্দুদের কাছে আজকের দিনটি খুবই পবিত্র দিন

আজ বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো। হিন্দুদের কাছে আজকের দিনটি খুবই পবিত্র দিন। নানা উপাচার সহ বহু জিনিস বিশ্বকর্মাকে নিবেদন করা হয়। বিশ্বকর্মাকে ‘লৌহদেব’ বলা হয়। এই পুজো মানেই ঘুড়ি লাটাই আর দুপুরে জমিয়ে খাসির মাংস খাওয়া-দাওয়া। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে বিশ্বকর্মা ছিলেন দেবশিল্পী। বিষ্ণুপুরাণের মতে প্রভাসের ঔরসে বৃহস্পতির ভগিনীর গর্ভে বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। বেদে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বকর্মা বলা হয়েছে। বিশ্বকর্মা মূলত সৃষ্টিশক্তির রূপক নাম। সেই অর্থে ইনি পিতা, সর্বজ্ঞ দেবতাদের নামদাতা। বিশ্বকর্মা সর্ব্বমেধ-যজ্ঞে নিজেকে নিজের কাছে বলি দেন। বিশ্বকর্মা বাচস্পতি, মনোজব, বদান্য, কল্যাণকর্মা, বিধাত। ঋগবেদের মতে ইনি সর্বদর্শী ভগবান। এঁর চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পা সর্বদিক বিদ্যমান। বাহু ও পায়ের সাহায্যে ইনি স্বর্গ ও মর্ত্য নির্মাণ করেন। বিশ্বকর্মা শিল্পসমূহের প্রকাশক ও অলঙ্কারের স্রষ্টা, দেবতাদের বিমান-নির্মাতা। এঁর কৃপায় মানুষ শিল্পপকলায় পারদর্শিতা লাভ করে। সর্বভূতে বিশ্বকর্মার অবস্থান। যেকোনো সৃজনশীল কাজেই যুক্ত থাকেন বিশ্বকর্মা।

ইনি উপবেদ, স্থাপত্য-বেদের প্রকাশক এবং চতুঃষষ্টি কলার অধিষ্ঠাতা। ইনি প্রাসাদ, ভবন ইত্যাদির শিল্পী। ইনি দেবতাদের জন্য অস্ত্র তৈরি করেন। মহাভারতের মতে– ইনি শিল্পের শ্রেষ্ঠ কর্তা, সহস্র শিল্পের আবিস্কারক, সর্বপ্রকার কারুকার্য-নির্মাতা। স্বর্গ ও লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামের জন্য সেতুবন্ধ নির্মাণকালে ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন। কোনো কোনো পুরাণ মতে, বিশ্বকর্মা বৈদিক ত্বষ্টা দেবতার কর্মশক্তিও আত্মসাৎ করেছিলেন। এই জন্য তিনি ত্বষ্টা নামেও অভিহিত হন। বাঙালী হিন্দুরা যে বিশ্বকর্মার মূর্তি পূজো করেন তিনি চতুর্ভুজা। এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্য হাতে হাতুরী, ছেনী, কুঠার থাকে। অবশ্যই এগুলি শিল্পের প্রয়োজনীয় জিনিষ, তাই শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মা এগুলি ধারন করে থাকেন। দাঁড়িপাল্লার একটি কারন আছে। আমরা যদি দাঁড়িপাল্লা কে ভালো মতো লক্ষ্য করি দেখি দুপাশে সমান ওজনের পাল্লা থাকে। ওপরের মাথার সূচক যখন সমান ভাবে ঊর্ধ্ব মুখী হয়- তখন বুঝি মাপ সমান হয়েছে। এভাবে একটি পাল্লায় বাটখারা রেখে অপর টিতে দ্রব্য রেখে পরিমাপ হয়। এর তত্ত্ব কথা আছে। আমাদের জীবনের কাটাতি আত্মিক বিন্দুতে স্থির রাখতে হবে। দুই পাল্লার একদিকে থাকবে জ্ঞান আর কর্ম।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *