হিন্দুদের কাছে গঙ্গাজল খুবই পবিত্র। দেবী গঙ্গাকে ‘মা’ বলেই কল্পনা করেন হিন্দুরা। গঙ্গোত্রী থেকে প্রবাহিত গঙ্গা। ভারতের এই নদীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়। হিন্দু বাড়িতে প্রতিটি পূজায় ঘট পূর্ণ হয় গঙ্গাজলে। গঙ্গা জলেই হয় শান্তিজল। সেই শান্তিজলের সামান্য স্পর্শে জীবনে আসে স্বস্তি। বাস্তুশাস্ত্র বিশারদরা বলেন, বাড়িতে প্রবল অশান্তি শুরু হলে আশ্রয় নিন গঙ্গানদীর কাছে। করুন স্নান, প্রণাম-আচমন। দেখবেন জীবনের সব সংকট মিটছে। পূরণ হচ্ছে সকল কামনা। এমনকী বাস্তুশাস্ত্র বিশারদরা বলছেন, গৃহে শান্তি বজায় রাখতে, সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে করুন গঙ্গাজল দিয়ে সহজ কিছু উপাচার।
- বাস্তুদোষ কাটান – বাস্তুতে কোনও দোষ পাওয়া গেলে এবং তার কারণে সংসারে নানা সমস্যা দেখা গেলে প্রতিদিন সারা বাড়িতে ছেটান গঙ্গাজল। প্রতিদিন এই কাজ করলে বাস্তু দোষ কেটে যাবে। এছাড়া সমগ্র গৃহে ছড়িয়ে পড়বে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ। তবে সময়ে সময়ে বাড়িতে গঙ্গাজল ছড়িয়ে দিতে হবে।
- পারিবারিক সমস্যা দূর করুন – পরিবারের কোনও একজন জীবনে খুব সমস্যা ভোগ করলে প্রতিদিন ভোরবেলা সারা বাড়িতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। গৃহের নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে গঙ্গাজল। তার সঙ্গে গৃহে বইয়ে দেয় ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ।
- সন্তানের কল্যানে গঙ্গাজল-
বাড়িতে ছোট বাচ্চার বারংবার শরীর খারাপ হলে বা সে কোনও সমস্যায় বারংবার পড়লে বুঝতে হয় কোনও দুষ্ট লোকের নজর পড়েছে তার উপর। এক্ষেত্রেও সারা বাড়িতে গঙ্গা জল ছেটালে উপকার মেলে। কোথায় রাখবেন গঙ্গাজল?
– অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় গঙ্গাজল রাখবেন না। গঙ্গাজল স্পর্শের আগে হাত সবসময় ধুয়ে নিতে হবে। শুভ ফল লাভের জন্য সময় অন্তর বাড়ির কোণে কোণে ছড়িয়ে দিতে হবে গঙ্গাজল।
– বাড়িতে বারংবার সমস্যার সম্মুখীন হলে, গৃহের উত্তর-পূর্ব কোণে পিতলের বোতলে গঙ্গাজল রেখে দিন। এই উপাচারে দ্রুত ওই গৃহের সব সমস্যা মিটে যায়।
– মনে রাখবেন, গঙ্গা জল রাখতে হবে গৃহের সবচাইতে পবিত্র স্থানে। অর্থাৎ যেখানে মন্দির স্থাপন করা হয়েছে সেখানেই রাখবেন গঙ্গাজল। রান্নাঘর, স্নানঘরের কাছে কিংবা শয়নকক্ষে গঙ্গাজল রাখবেন না।