www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 9, 2025 6:20 am

মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম অর্জুনকে বর্ণাশ্রমের কথা বলেন।

মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম অর্জুনকে বর্ণাশ্রমের কথা বলেন। তিনি বলেন, সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এই
বর্ণাশ্রম খুবই জরুরি। বর্ণাশ্রম হলো ভারতীয় সমাজের একটি ধর্মভিত্তিক বিভাজন ব্যবস্থা, যেখানে “বর্ণ” মানে সামাজিক গোষ্ঠী বা পদ এবং “আশ্রম” মানে জীবনের পর্যায় বা স্তর। এই ব্যবস্থা সমাজে চারটি প্রধান গোষ্ঠী বা বর্ণ (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র) এবং জীবনের চারটি পর্যায় (ব্রহ্মচর্য, গৃহস্থ, বানপ্রস্থ, এবং সন্ন্যাস) নির্দেশ করে, যা ব্যক্তির কর্তব্য ও জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রণ করে।

  • বর্ণ:
    ব্রাহ্মণ:
    পুরোহিত, শিক্ষক এবং জ্ঞানচর্চাকারীদের গোষ্ঠী।
    ক্ষত্রিয় :
    যোদ্ধা, শাসক এবং রাজ্যরক্ষাকারীদের গোষ্ঠী।
    বৈশ্য:
    ব্যবসায়ী, কৃষক এবং অর্থনৈতিক কার্যাবলী পরিচালনাকারীদের গোষ্ঠী।
    শূদ্র:
    কারিগর, শ্রমিক এবং সেবাদানকারীদের গোষ্ঠী।
  • আশ্রম:
    ব্রহ্মচর্য:
    ছাত্রজীবন এবং জ্ঞানার্জনের পর্যায়।
    গৃহস্থ:
    বিবাহিত জীবন ও পরিবার পরিচালনার পর্যায়।
    বানপ্রস্থ:
    অবসর জীবন ও আধ্যাত্মিক সাধনার পর্যায়।
    সন্ন্যাস:
    সম্পূর্ণ ত্যাগ ও ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি নিবেদনের পর্যায়। বর্ণাশ্রম একটি নৈতিক এবং সামাজিক কাঠামো প্রদান করে, যা ব্যক্তিকে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনে সহায়তা করে।
administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *