ভক্তরা বিভিন্ন তিথিতে ভগবান বিষ্ণুকে ভোগ নিবেদন করেন। অনেকেই আবার ৫৬ ভোগ নিবেদন করেন। ঠাকুরের ভোগের থালায় তুলসী পাতা দেওয়া উচিত না অনুচিত? এই নিয়ে শাস্ত্রে কী বলা হয়েছে? যদি পদ্ম পুরাণের দিকে নজর দেওয়া হয়, তা হলে দেখা যাবে সেখানে বলা হয়েছে, “তুলসী দলেন বিকৃতেন জলেন অপি মধুসূদনঃ। আপ্লুতো ভূমি ভৃদ্ধেন নমস্যতি সদা হরিঃ॥” এর অর্থ, ভগবানকে যদি একফোঁটা জলও দেওয়া হয় কিন্তু তার সঙ্গে তুলসী পাতা থাকে, তা হলে শ্রীকৃষ্ণ সেই অর্ঘ্য আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেন। পদ্ম পুরাণের পাশাপাশি গরুড় পুরাণে উল্লেখ আছে যে, শ্রীবিষ্ণু, কৃষ্ণ বা নারায়ণের পূজায় তুলসী ছাড়া ভোগ অসম্পূর্ণ থাকে।
ভাগবত পুরাণে বলা হয়েছে যে কৃষ্ণ তুলসীকে তাঁর অতি প্রিয় ভক্ত রূপে মান্য করেছেন, তাই তুলসী ছাড়া কোনও ভোগ তিনি গ্রহণ করেন না। এই বিষয়টির সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগও রয়েছে। তুলসীকে শ্রীবিষ্ণু বা কৃষ্ণের অর্ধাঙ্গিনী “বৃন্দা দেবী” মনে করা হয়। এ ছাড়া তুলসী পাতা অত্যন্ত শুদ্ধ। এটি পবিত্রতা এবং ভক্তির প্রতীক। তুলসী ছাড়া অর্ঘ্য দিলে ভগবানকে অর্পণ অসম্পূর্ণ বলে ধরা হয়। তাই জন্মাষ্টমীর ভোগের থালায় যত রকম ফল, মিষ্টি, দুধ-দই-মাখন দেওয়া হোক না কেন, প্রতিটি পদে অন্তত একটি করে তুলসী পাতা দেওয়া বাধ্যতামূলক। শাস্ত্রে এমনটাই বলা হয়েছে।