ভারতের যেকোনো পাহাড়কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে আদিবাসী সভ্যতা। বিশেষ করে পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের আর্য আগমনের সময় থেকেই পাহাড়ে পাহাড়ে গড়ে ওঠে আদিবাসীদের বসবাস। স্বাভাবিক কারণেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে পাহাড় হয়ে উঠেছে আরাধ্য দেবতা। পাহাড় পূজা, যা প্রকৃতি পূজা বা আদিবাসী সংস্কৃতির একটি অংশ, সাধারণত ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যেখানে পাহাড়কে দেবতা রূপে পূজা করা হয় এবং এটি প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি মাধ্যম। আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং এই উপলক্ষে স্থানীয় মেলাও বসে।
“পাহাড় পূজা” আসলে কি?
“পাহাড় পূজা” হল একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যা মূলত ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী অঞ্চলে পালিত হয়। এই উৎসবে, পাহাড়কে দেবতা রূপে পূজা করা হয় এবং এটি প্রকৃতি পূজার একটি রূপ। আদিবাসী সমাজের মানুষ এই পূজা করে, যেখানে তারা প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এই পূজা আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানীয়ভাবে একটি মেলারও আয়োজন করা হয়।
“পাহাড় পূজা” ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পাহাড় পূজা” কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি মাধ্যম। আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বাড়াতে সাহায্য করে।
পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান, যা প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায়।
“পাহাড় পূজা” কোথায় পালিত হয়?
বিশেষ করে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী অঞ্চলে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলপাহাড়ী থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে পাহাড়ের সারিতে এই পূজা হয়।
এটি বেলপাহাড়ী বা চাকুলিয়া থেকেও যাওয়া যায়।