গ্রহের অবস্থানের উপর আমাদের ভাগ্য অনেক সময় নির্ভর করে। গ্রহর অবস্থান মানুষের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে আমাদের জীবনে রাশিচক্রে কোন গ্রহ কোথায় অবস্থান করছে তার উপরেই নির্ভর করছে সাফল্য এবং ব্যর্থতা, প্রেম থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণ। সেই সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সূর্য দেবের অবস্থান। যার স্থান পরিবর্তনে খুব শীঘ্রই আমূল বদলে যেতে চলেছে বেশ কিছু রাশির জাতক-জাতিকার জীবন। এই বছর, ১৭ অগস্ট, সূর্য তার গোচর সম্পন্ন করবে। প্রবেশ করবে সিংহ রাশিতে। যেহেতু সূর্য সিংহ রাশির অধিপতি, তাই এই প্রবেশ বছরে মাত্র একবারই ঘটে। এই বছর এই যোগের গুরুত্ব আরও বেশি। কারণ সিংহ রাশিতে ইতিমধ্যেই কেতুর উপস্থিতি রয়েছে। তীব্রতা এবং নিষ্ঠুরতা জন্য প্রসিদ্ধ এই গ্রহ। সর্বোপরি প্রায় ১৮ বছর পরে সিংহ রাশিতে পুনরায় প্রবেশ করেছে কেতু। এর ফলে কয়েকটি রাশির উপর এর বড়ো প্রভাব পড়বে।
- মেষ রাশি – এই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সূর্য ও কেতুর সংযোগ কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। যারা সম্পর্কে আছেন তাঁদের জন্য এই সময়টি বিবাহের দিকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে। পরিবারের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এর পাশাপাশি, যারা কর্মজীবী তাঁরা তাঁদের কাজে উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি পেতে পারেন। প্রতিভার যথাযথ প্রশংসা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- সিংহ রাশি – এই রাশির জাতকদের জন্য সূর্য ও কেতুর সংযোগ খুবই উপকারী হতে পারে। এই সময়ে তাঁরা আধ্যাত্মিকতার প্রতি আরও আগ্রহী হতে পারে এবং তাঁদের মানসিক শক্তি আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়টি চাকরিজীবীদের জন্যও অনুকূল হবে। দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম স্বীকৃতি পাবে। আয়ের নতুন পথ খুলে যেতে পারে, যা আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনেও সহায়তা করতে পারে।
- তুলা রাশি – এই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য, সূর্য ও কেতুর সংযোগ পেশাগত ক্ষেত্রে নতুন শক্তি আনতে পারে। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যমান কিছু সমস্যার সমাধান হতে পারে। আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এবং দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত কাজ সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি, কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
- বৃশ্চিক রাশি – ১৭ অগস্টের পরের সময় এদের জন্য অনুকূল হতে পারে। স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে আপনার কর্মক্ষমতা উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, যা আপনার সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। নিয়মিত এবং পরিমিত জীবনধারা গ্রহণ করলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।