হিন্দুধর্মে যেকোনো দেবদেবীর পুজোর অন্যতম একটি বিষয় হলো নৈবেদ্য নিবেদন। পূজামন্ত্রে বলা হচ্ছে – ‘নৈবেদ্যং সমর্পয়ামি’ এর অর্থ ‘নৈবেদ্যং’ অর্থাৎ ভোগ/নৈবেদ্য (যা ঠাকুরকে নিবেদন করা হচ্ছে), আর ‘সমর্পয়ামি’ অর্থাৎ আমি নিবেদন করছি/অর্পণ করছি। এর মূল অর্থ – আমি এই নৈবেদ্য (ভোগ) তোমার চরণে অর্পণ করছি।
এই নৈবেদ্য নিবেদনের বিশেষ কিছু বিধি আছে। যেমন –
১) ফল, মিষ্টি, কিংবা বাড়িতে তৈরি করা অন্নভোগ — এগুলো কলাপাতায় সাজিয়ে ঈশ্বরকে নিবেদন করা উচিত। কলাপাতা যদি না পাওয়া যায়, তখন কাঁসার বা তামার থালায় ভালো করে সাজিয়ে নৈবেদ্য দেওয়া উচিত।
২) ঠাকুরঘরে বা পুজোর ঘরে যে জায়গায় নৈবেদ্যর থালা বা পাতাটি দেওয়া হবে, সেখানে ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী গোল করে জল ছিটিয়ে তারপর সেই জায়গাতে পাতা বা থালা রাখতে হবে।
৩) যখনই ঈশ্বরের উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করবেন, ভুল করেও আঢাকা অবস্থায় দেবেন না। সবসময় তা ঢেকে রাখতে হবে। অল্প পরিমাণে নৈবেদ্য থাকলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
৪) বাড়িতে যখন নৈবেদ্য বানাবেন, সেই সময় ঝাল ও মশলা খুব কম ব্যবহার করা ভাল। এর পরিবর্তে ঘি ও মাখনও ব্যবহার করতে পারেন।
৫) কখনও নৈবেদ্যর সঙ্গে কাঁচা নুন দেবেন না। এ ছাড়া তা যখন প্রসাদ হিসেবে সকলে খাবেন, সেই সময়ও নুন যোগ করা উচিত নয়।