রান্নাঘর শুধু খাবার তৈরির জায়গা নয়। পরিবারে স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সুখের উৎস। বাস্তুশাস্ত্র মতে তাই রান্নাঘরের কিছু নির্দিষ্ট জিনিস কখনওই একেবারে ফুরিয়ে যেতে দেওয়া উচিত নয়। তাতে ঘরে অর্থনৈতিক দুর্ভাগ্য, ঝামেলা বা অশান্তি হতে পারে।
১. নুন – হিন্দু শাস্ত্র মতে, নুনের সঙ্গে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ যুক্ত। রান্নাঘরে নুন একেবারে না থাকলে তা ঘরে অর্থকষ্ট, মানসিক অস্থিরতা ও স্বাস্থ্যহানির প্রতীক হতে পারে। টোটকা: নুন ফুরিয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংগ্রহ করুন। শুক্রবার নুন কিনে আনলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
২.চাল – চাল দেবী অন্নপূর্ণার প্রতীক। রান্নাঘরে একেবারে চাল না থাকলে মনে করা হয় ঘরে অভাব, কলহ ও অশান্তি নেমে আসে। তাই এক মুঠো চাল সবসময় একটি বয়ামে রেখে দিন।
৩.দুধ – দুধ চাঁদের প্রতীক, এটি মানসিক স্থিতি ও শান্তির প্রতীক। দুধ ঘরে না থাকলে মানসিক অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। তাই রাতে এক কাপ দুধ রান্নাঘরে রেখে দিন। এটি চন্দ্রের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. ঘি – ঘি হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা ও অগ্নিদেবের প্রতীক। বিশ্বাস রান্নাঘরে ঘি না থাকলে জীবনে শুভ শক্তি কমে যায় এবং মানসিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে সংসারে শুদ্ধতা এবং ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে।
৫. হলুদ – হলুদ শুদ্ধতা, স্বাস্থ্য ও শুভ শক্তির প্রতীক। রান্নাঘরে হলুদ একেবারে না থাকলে তা নেতিবাচক শক্তি বাড়তে দেয় বলে মনে করা হয়। শুক্রবার হলুদ দান করলে মা লক্ষ্মীর কৃপা বাড়ে বলেই বিশ্বাস।
৬. চিনি বা গুড় – মিষ্টি পদার্থ সম্পর্কের মাধুর্য ও আর্থিক সমৃদ্ধির প্রতীক। এগুলো না থাকলে জীবনে তিক্ততা ও আর্থিক টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে।