হঠাৎ কুকুরের চিৎকার, কান্নার মতো শব্দে ঘুম ভাঙল। খানিকটা বিরক্তই হলেন। কারণ, কুকুরের কান্না দুঃসংবাদ, মূলত মৃত্যু সংবাদ বয়ে আনে বলেই ধারণা সকলের। মনে মনে ভাবলেন, কোনও বিপদ আসন্ন! কিন্তু জানেন কেন মাঝরাতে আর্তনাদ করে সারমেয়রা? চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক সেকথাই। জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন তাঁদের যুক্তি, অশরীরিদের উপস্থিতি টের পেলেই নাকি কেঁদে ওঠে সারমেয়রা। মানুষ যা বুঝতে বা অনুভব করতে পারে না, ওরা পারে। আর্তনাদ করে সতর্কবার্তা দেয়। তবে শুধুমাত্র এই কারণেই মাঝরাতে ডেকে ওঠে না না-মানুষরা। তাহলে কারণ কী? পথ কুকুরদের নিজেদের এলাকা থাকে। রাতে সকলেই নিজেদের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। বলা যায়, পাহাড়া দেয়। মূলত দূরে থাকা সঙ্গীদের বার্তা পৌঁছতেই নাকি এভাবে মাঝরাতে চিৎকার করে ওঠে চারপেয়েরা।
কখনও আবার বিপদ বুঝতে পেরে চিৎকার করে বন্ধুদের ডেকে নেয়। বোঝায়, সে শত্রুপক্ষের মুখে পড়েছে। তাছাড়া মানুষের মতো নিজেদের সমস্যার কথা তো ওরা বলতে পারে না। তাই ওভাবেই ভিন্ন পদ্ধতিতে আর্তনাদের মধ্যে দিয়ে সঙ্গীকে বোঝায় নিজের মনের কথা, সমস্যার কথা। ওদের একাকিত্ব বোঝানোর ভাষাও ওই কান্নাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুকুরের মাঝরাতে কেঁদে ওঠার পিছনে আর যাই কারণ থাকুক না কেন, মৃত্যুর কোনও যোগ নেই। জ্যোতিষশাস্ত্রেও কুকুরের কান্নার সঙ্গে মৃত্যু সংবাদের যোগের কোনও তথ্য নেই। তাই মাঝরাতে কুকুরের কান্না শুনলে ভয় পাওয়া অর্থহীন।