www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 25, 2025 12:23 am

ধর্ম বরাবরই ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ। ধর্ম ছাড়া ভারতীয় সাধারণ জীবন প্রবাহ সম্ভব এই ভাবনা এখন বিরল।

ধর্ম বরাবরই ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ। ধর্ম ছাড়া ভারতীয় সাধারণ জীবন প্রবাহ সম্ভব এই ভাবনা এখন বিরল। এই সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ধর্মের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ছে প্রতিদিন। যেখানে রাজনীতি ধর্ম ছাড়া অচল। সেখানে দাঁড়িয়ে বাঙালির গুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিতে ধর্মের পরিভাষা কী তা জেনে নেওয়া জরুরী। শুরুতেই বলাবাহুল্য রবীন্দ্রনাথ বেদ-বাইবেল থেকে কোরান শরিফ পর্যন্ত পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ পড়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়ে অনুভব করেছিলেন সব ধর্মগ্রন্থ প্রায় একই কথা বলছে — কীভাবে ভালোবাসার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়!

রবীন্দ্রনাথের কাছে ধর্মের পরিভাষা অনেক গভীর এবং অনন্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মতো। রবীন্দ্রনাথের ধর্মচর্চা অথবা ধর্ম বিষয়ক পড়াশোনা শুধু হয়েছিল ছোটবেলাতেই। তার পিতার হাত ধরে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পুত্রদের বেদ এবং উপনিষদের শ্লোকগুলো আবৃত্তি করাতেন। রবীন্দ্রনাথের বাবা ছিলেন ব্রাহ্ম আন্দোলনের পুরোধা। এছাড়া রাজা রামমোহন রায়ের অনুরাগী। দেবেন্দ্রনাথের জীবনে বেদ, উপনিষদ ছিল আদর্শ। বাবার এই উপনিষদ শিক্ষা এবং জ্ঞান গভীর প্রভাব ফেলেছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনে। ধর্ম সচেতনতার জন্য মাত্র ২৩ বছর বয়সে ব্রাহ্ম সমাজের সেক্রেটারি পদে নিয়োগ করা হয় রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের সমাজ সচেতনতার জন্য হিন্দু সমাজের গোঁড়ামিগুলোর বিরুদ্ধে বারবার আওয়াজ তুলেছেন, কলম তুলেছেন। বিপরীতে হিন্দু সমাজ ব্রাহ্ম সমাজকে নিয়েও সমালোচনা করতেন। ফলে একে ওপরের রুচিশীল সমালোচনা চলত দীর্ঘ দিন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হিন্দু সমাজ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্ম সমাজ নিয়ে নিয়মিত দু’টো ভিন্ন পত্রিকায় সমানুপাতিক ভাবে লেখালেখি চলতো। তবে এই সমস্তটা পেরিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন —”কোন প্রতিষ্ঠানিক ধর্ম আমার ধর্ম নয়। আমি ব্রাত্য, আমি মন্ত্রহীন, আমি পঙক্তিহীন, আমি তোমাদেরই লোক।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *