ভারতীয় ধৰ্মীয় সংস্কৃতি বৈচিত্রে ভরা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের এমন এক দেবী মায়ের এমন একটি মন্দিরের কথা বলছি, যেখানে দেবীর ছিন্ন মস্তক পুজো করা হয়। ছিন্নমস্তিকা দেবীর মন্দির ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৮০ কিলো মিটার দূরে রাজরাপ্পায় অবস্থিত। এই মন্দিরে মস্তকহীন দেবীর পুজো করা হয়। ছিন্নমস্তিকা দেবীর মন্দির ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৮০ কিলো মিটার দূরে রাজরাপ্পায় অবস্থিত। এই মন্দিরে মস্তকহীন দেবীর পুজো করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই মন্দিরের ভেতরে গেলে ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার ভক্ত মাকে দেখতে আসেন। এর পাশাপাশিই জেনে নিন ৬০০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরের নানা ইতিহাস।
এই মন্দিরটি ৬০০০ বছরের পুরানো এবং দেবী ছিন্নমস্তিকার জন্য পরিচিত। এখানে দেবীকে প্রেমের দেবতা কামদেবের উপর দাঁড়িয়ে থাকা নগ্ন দেবী হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে এবং তিনি এখানে প্রেমের দেবী রতি। মন্দিরটি তার তান্ত্রিক স্থাপত্যশৈলীর জন্যও বিখ্যাত। এই মন্দির নিয়ে অনেক কিংবদন্তি ইতিহাস ও গল্প রয়েছে। একটি কাহিনি অনুসারে জানা যায়, এক বার দেবী মা তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গা নদীতে স্নান করতে গেলে তাঁর দুই বন্ধু সেখানে কিছু ক্ষণ কাটানোর পর ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন। দুই বন্ধুর ক্ষুধা এতই প্রবল যে, দু’জনের গায়ের রং পরিবর্তিত হতে শুরু করে এবং তা কালো হয়ে যায়। তখন তারা দেবী মায়ের কাছে খাবারের জন্য দাবি করতে থাকে। মা তাকে ধৈর্য ধরতে বলল। কিন্তু তারা ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলছিল। বন্ধুদের অবস্থা দেখে নিজের মাথা কেটে ফেলেন দেবী মা। তাঁর শিরশ্ছেদ করার সময় নিজের মাথা বাম হাতে পড়ে যায়। সেখান থেকে রক্তের তিনটি স্রোত বইতে শুরু করে। দেবী মা নিজের দুই বন্ধুদের পান করার জন্য দু’টি স্রোত প্রদান করেন এবং তিনি নিজেই অবশিষ্ট স্রোত থেকে রক্ত পান করতে শুরু করেছিলেন।