www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 1, 2025 1:42 pm

প্রচলিত লোক কাহিনীর মধ্যে অন্যতম কাহিনীটি হলো, কথিত আছে, পৈতে হয়ে যাওয়ার পর গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলে ঢাকা লাকুর্ডি এলাকায় চলে এসে সেখানেই তিনি থাকতে শুরু করেন। একদিন সেখানকার একটি পুকুরে স্নান করতে নেমে তিনি একটি প্রস্তরমূর্তি পান। সেই রাতেই নাকি তিনি দেবী দুর্লভা মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। সেই স্বপ্নাদেশ মেনে লাকুর্ডির জঙ্গল আবৃত স্থানে তালপাতার ছাউনি তৈরি করে সেখানেই তিনি মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করে দুর্লভা কালীর আরাধনা শুরু করেন।

আমরা যে কালীর আরাধনা করি, সেই কালী মূর্তির সঙ্গে থাকে শিয়াল। সেই অর্থে শিয়ালও কালীর সঙ্গে পূজিত হয়। কিন্তু বর্ধমানের দুর্লভা কালী মন্দিরে এখনও প্রথমে শিয়ালকে ভোগ নিবেদন করা হয়। ওই কালী মন্দির নিয়ে আছে প্রচুর লোক প্রচলিত গল্প। বর্ধমানের দুর্লভা কালী মন্দিরের সেই ভোগ ‘শিবাভোগ’ নামে বিশেষ পরিচিত। ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বর্ধমানের লাকুর্ডিতে পূজিতা হয়ে আসছেন ‘দুর্লভা কালী’। এক সময়ে বর্ধমানের (Burdwan) লাকুর্ডি এবং তার আশপাশের এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। শিয়াল সহ হিংস্র সব জন্তু-জানোয়ারের আনাগোনা ছিল সেখানে। এমন দুর্গম স্থানে ‘দুর্লভ’ নামের এক কালী সাধক নাকি কালীর আরাধনা করতেন (Bardhaman)। সেই কারণে এখানকার কালী ‘দুর্লভা কালী’ নামে পরিচিতি পায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

প্রচলিত লোক কাহিনীর মধ্যে অন্যতম কাহিনীটি হলো, কথিত আছে, পৈতে হয়ে যাওয়ার পর গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলে ঢাকা লাকুর্ডি এলাকায় চলে এসে সেখানেই তিনি থাকতে শুরু করেন। একদিন সেখানকার একটি পুকুরে স্নান করতে নেমে তিনি একটি প্রস্তরমূর্তি পান। সেই রাতেই নাকি তিনি দেবী দুর্লভা মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। সেই স্বপ্নাদেশ মেনে লাকুর্ডির জঙ্গল আবৃত স্থানে তালপাতার ছাউনি তৈরি করে সেখানেই তিনি মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করে দুর্লভা কালীর আরাধনা শুরু করেন।

‘দুর্লভা কালী’ (Durlava Kali) নাম নিয়ে মন্দিরের সেবায়েতদের ব্যাখ্যা অবশ্য ভিন্ন। তাঁদের ব্যাখ্যা, গোকুলানন্দ দেহত্যাগ করার পর মহারাজ বিজয়চাঁদ মহতাব মন্দিরে পুজোর জন্য দুর্লভ ভট্টাচার্য নামে এক পুরোহিতকে নিয়োগ করেন। সেই পুরোহিতের নাম অনুসারেই দেবী পরিচিতি পান ’দুর্লভা কালী’ নামে। দুর্লভা মায়ের পুজো শুধুমাত্র কালী পুজোর সময় ঘটা করে হয়, এমনটা নয়। দুর্গাপুজোর চার দিন মন্দিরে পূজিত হন দেবী দুর্লভা। আর কার্তিকের আমাবস্যা তিথিতে রাতভর দেবী দুর্লভার পুজোপাঠ হয়। সেবায়েতরা জানান, দেবীর মূর্তিটি প্রথমে মাটির ছিল। পরে অষ্টধাতুর দেবী মূর্তি তৈরি করা হয়। সেই মূর্তিটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাব বেল কাঠের মূর্তি তৈরি করে দেন। কিন্তু সময়ের ফেরে বেলকাঠের মূর্তিতে ঘুণ ধরে গেলে তৈরি করা হয় সিমেন্টের দেবী মূর্তি। এখন অবশ্য শ্বেত পাথরের মূর্তি গড়ে পুজো করা হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *